পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্য । భ్ఫీ রাজনির্ঘণ্টকার বলেন যে, বৈদূৰ্য্যমণি সাধারণতঃ কৃষ্ণ-পীতবর্ণ; কিন্তু শুক্রনীতিতে লিখিত আছে যে, “নীলরক্তস্তু বৈদুৰ্য্যং শ্রেষ্ঠং হীরাদিকং ভবেৎ।” যে বৈদূৰ্য্য-মণি নীলরক্তবর্ণ সেই বৈদূৰ্য্যই শ্রেষ্ঠ। যাহাই হউক, কৃষ্ণ-পীত বা নীল-রক্ত হইলেও তাচার ছায়া বা কান্তিগত বিশেষ বৈলক্ষণ্য আছে সন্দেহ নাই। রাজনির্ঘণ্টকার বংশপত্র প্রভৃতি বস্তুর সাদৃশু দ্বারা বৈদূৰ্য্য-মণির স্বরূপগত কাস্তির বর্ণন করিয়া উহাকে সহজবোধ্য করিয়া গিয়াছেন ; যথা— “একং বেণুপলাশকোমলকুচ মায়ুরকণ্ঠত্বিষা, মার্জরেক্ষণপিঙ্গলচ্ছবিজুষ জ্ঞেয়ং ব্রিধা ছায়য়া । যদগত্রিং গুরুতাং দধাতি নিতরাং স্নিগ্ধন্তু দোষোজুি তং, বৈদূৰ্য্যং বিশদং বদন্তি সুধিয়ঃ স্বচ্ছঞ্চ তচ্ছোভনম্।” ইহার সংক্ষেপ অর্থ এই যে, বৈদুৰ্য্য-মণি তিন প্রকার ছায়ার দ্বারা ত্রিধ অর্থাৎ তিন প্রকার হষ্টয়া থাকে। এক প্রকার “বেণু পলাশ * অর্থাৎ কচি বাশের পাতার রঙ । দ্বিতীয় প্রকার ময়ুরকণ্ঠের রঙ । তৃতীয় প্রকার “মার্জার” অর্থাৎ বিড়ালের চক্ষুর রঙ। তন্মধ্যে যাহা বিশদ ও স্বচ্ছ, তাহাই উত্তম । এই উত্তম বৈদুৰ্য্য স্নিগ্ধ, ওজনে ভারী ও নিদোষ। “ বিচ্ছ,ায়ং মৃচ্ছিলাগর্ভং লঘু রুক্ষঞ্চ সক্ষতম্। সত্ৰাসং পরুষং কৃষ্ণং বৈদূৰ্য্যং দুরতাং নয়েৎ ” । যাহা বিচ্ছায় অর্থাৎ বিবর্ণ ( অথবা দ্বিবর্ণ), যাহার অভ্যন্তরে মৃত্তিক বা শিলাচিহ্ন দৃষ্ট হয়, যাহা ওজনে হালকা, রুক্ষ, অস্নিগ্ধ, ক্ষতযুক্ত, ত্রাসচিহ্নে চিহ্নিত, কর্কশ, কৃষ্ণভাতি, এরূপ বৈদূৰ্য্য দুরে নিক্ষেপ করিবেক। পরীক্ষা । “ঘৃষ্টং যদাত্মন স্বচ্ছং স্বচ্ছায়াং নিকষাশ্মনি । } প্রদর্শয়েদেতদ্বৈদুৰ্য্যং জাত্যমুচ্যতে ॥', রাজনির্ঘণ্ট ॥ ইহান্ন ভাবার্থ এই যে, কষ্টি-পাথরে ঘর্ষণ করিলে যাহার স্বচ্ছতা ও ছায়া পরি"ফুট হয়, সেই বৈদূৰ্য্যই জাত্য অর্থাৎ ভাল। গৰুড়পুরাণে বৈদূৰ্য্যসম্বন্ধে এইরূপ উক্তি আছে। যথা— ২৩৭