রত্ন রহস্ত । * “তেষাং প্রধানং শিখি কণ্ঠনীলং যদ্ব ভবেছেণুদলপ্রকাশম্। চাষাগ্রপক্ষপ্রতিমশ্রিয়ে যে ন তে প্রশস্ত মণিশাস্ত্রবিদ্ভিঃ ॥” বৈদূর্ঘ্য বহু প্রকার হইলেও ময়ুরকষ্ঠ রঙের এবং বংশ-পত্র বর্ণের বৈদূৰ্যই প্রধান বা উৎকৃষ্ট । যাহার বর্ণ “চাষ” বা নীলকণ্ঠ নামক পক্ষীর পক্ষাগ্রভাগের ষ্ঠায়, সে বৈদূৰ্য্য-মণি উত্তম নহে।
- গুণবান বৈদূৰ্য্যমণিৰ্যে জয়তি স্বামিনং বরভাগ্যঃ । দোষৈয়ুক্তোদোষৈস্তস্মাৎ যত্নাৎ পরীক্ষেত ।” যেহেতু গুণযুক্ত বৈদুৰ্য্য-মণি ধারণকৰ্ত্তার ও প্রভুর সৌভাগ্য আনয়ন করে, আর দোষবান বৈদুৰ্য্য দোষ আনয়ন করে, সেইহেতু যত্নপূৰ্ব্বক তাহকে পরীক্ষা করিবেক ।
“গিরিকাচ-শিশুপালে কাচ-স্ফটিকাশ্চ ভূমিনির্ভিন্না:। বৈদূৰ্য্য-মণেরেতে বিজাতয়ঃ সন্নিভাঃ সস্তি ॥” “গিরিকাচ” “শিশুপাল” “কাচ” ও “স্ফটিক” ভূমিনিভিন্ন অর্থাৎ ভূমি ভেদ করিয়া উৎপন্ন উক্ত কয়েক প্রকার বস্তুই বৈদুৰ্য্য-মণির সদৃশ ও বিজাতীয়। অর্থাৎ উল্লিখিত নামীয় মণি সকল বৈদূৰ্য্য-মণির দ্যায় দেখায় বটে, কিন্তু তাহা পরীক্ষায় তত্ত্ব ল্য নহে, সুতরাং তাহারা বিজাতীয়। গিরিকাচ প্রভৃতির লক্ষণ এই যে,— “লিখ্যাভাবাৎ কাচং লঘুভাবচ্ছিশুপালকং বিদ্যাৎ । গিরিকাচমদীপ্তিত্বাৎ স্ফটিকং বর্ণেজ্জিলত্বেন ৷” লিথ্যাভাব অর্থাৎ প্রমাণগত ক্ষুদ্রতা হেতু “কাচ” । লঘুভাব অর্থাৎ ওজনে হালকা বলিয় “শিশুপাল” । দীপ্তিহীনতা হেতু “গিরিকাচ” । বর্ণের ঔজ্জ্বল্য থাকায় "স্ফটিক” । বিজাত বৈদুৰ্য্য এই চারি প্রকার লক্ষণাক্রান্ত হয় । স্নেহপ্ৰভেদে লঘুতা মৃদুত্বং বিজাতিলিঙ্গং খলু সাৰ্ব্বজঙ্গম । অন্যান্ত মণির দ্যায় বৈদুৰ্য্য-মণিরও বিজাতি আছে । সমস্ত বিজাত মণিই জাত্যমণির সমানবর্ণযুক্ত হইয়া থাকে। নানাপ্রকার উপকরণ দ্বারা তাহদের প্রভেদ-অনুমানের পথ প্রদর্শিত হইয়াছে। বিদ্বান মনুষ্য সে সকলকে বিচার ও মুখে লক্ষ করিয়া থাকেন। “স্নেহ প্রভেদ’ অর্থাৎ লাবণ্যের ক্রট, “লঘুতা” অর্থাৎ ওজনে হালকা, “মৃদ্ভুত্ব’ অর্থাৎ অকঠিনত, এই কয়েকটী বিজাতি-পরী ক্ষার সৰ্ব্বজন-বিদিত চিহ্ন। অর্থাৎ এই কয়েকটা লক্ষণ দৃষ্ট হইলেই তাহ জাত্য २७s
- ళ