শ৪” রত্ন-রহস্তী । “সুতার” গুণের লক্ষণ এই যে—
- উদিগরপ্লিব দীপ্তিং যোহসেী স্থতার ইতি গদ্যতে ॥” মণি যদি দীপ্তি অর্থাৎ তেজ বমন করিতে থাকে তবে তাহাকে “সুতর” নামক মহাগুণ বলা যায় ।
“ঘন” প্রভৃতি মহাগুণ কি ? তাহাও বলা যাইতেছে— “প্রমাণতাল্লং গুরু যৎ ঘনমিত্যভিধীয়তে । কলঙ্কাদিবিহীনং তদত্যচ্ছমিতি কীৰ্ত্তিতম্। ব্ৰহ্ম শূদ্রং কলাকারশচঞ্চলে যত্র দৃশুতে । কলিলং নাম তদ্রাজ্ঞঃ সৰ্ব্বসম্পত্তিকারকম্।।” “বিশ্লিষ্টাঙ্গন্তু বৈদূৰ্য্যং ব্যঙ্গমিত্যভিধীয়তে।” প্রমাণে অল্প, কিন্তু পরিমাণ-গুরু অর্থাৎ ওজনে ভারি । এইরূপ হইলে তাহাকে এখন” গুণ বলা যায়। কলঙ্ক প্রভৃতি দেtষরহিত হইলে, তাহ “অত্যচ্ছ” গুণ বলিয়। কথিত হয়। যাহাতে চন্দ্রকলার হ্যায় এক প্রকার চঞ্চলবৎ পদার্থ দুষ্ট হয়, তাহাই “কলিল” এবং তাহ রাজাদিগের সম্পত্তি-দায়ক। যাহার অবয়ব বিশ্লিষ্ট অর্থাৎ বিশেষরূপে অসংহত তাহ ‘ব্যঙ্গ” । দোষ । যেমন পাচটা গুণ নির্দিষ্ট আছে, সেইরূপ পাঁচটা দোষও নির্ণীত আছে। যথা— “কৰ্করং কর্কশং ত্রসঃ কলঙ্গে দেহ ইত্যপি । এতে পঞ্চ মহাদেব বৈদূৰ্য্যাণমুদীরতাঃ ॥” মণিশাস্ত্রবিৎ পণ্ডিতগণ কহিয়াছেন যে, বৈদূৰ্য্য মণির পাঁচটা প্রধান দোষ আছে । যথা—“কৰ্কর” “কৰ্কশ” “ত্রাস” “কলঙ্ক’, ‘দেহ” । কিরূপ ? তাহাও বর্ণিত হইতেছে। “শর্করাযুক্তমিব যৎ প্রতিভাতি চ কৰ্করম।” যাহা দেখিবামাত্র শর্করাযুক্তের ন্তায় ( কাকর-যুক্ত ) বোধ হয়, তাহাই "কর্কর” দোষ । “ম্পর্শেইপি চ যত্তজজ্ঞেয়ং কর্কশং বন্ধুনাশনম্ গ ম্পর্শ করিবামাত্র যাহা কাকরযুক্ত বলিয়া অনুভব হয়, তাহাই “কৰ্কশ” দোষ । এই দোষ বন্ধুনাশ করিয়া থাকে । 兹 Հ8Հ