পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*够 রত্ন-রহস্ত । । গোমেদ-মণি । এই মণি বা রত্ন স্বনামখ্যাত। আধুনিক জহরীরাও ইহাকে “গোমেদক্‌” বলিয়া থাকেন। কেহ কেহ পীত মণিও বলেন। বস্তুতঃ ইহা সম্পূর্ণ পীত নহে ; কিঞ্চিৎ অরুণপ্রভাও আছে। যথা— “গোমেদ: প্রিয়কৃৎ রাহোরাষৎ পীতারুণ প্রভঃ ।”

  • * শুক্রনীতি । সংস্কৃত অভিধানে ইহার ৫টা নাম দেখা যায়। যথা–গোমেদ, রাহুরত্ন, তমোমণি, স্বর্ভানব, পিঙ্গল্ফটিক । পিঙ্গল্ফটিক ও পীতমণি এই দুইটী নাম গুণ ও দৃশু অমুসারী। ইহা এক প্রকার স্ফটিক বলিলেও বলা যায়। কেবল রঙের ও রাসায়নিক গুণের প্রভেদ থাকাতেই স্বতন্ত্ররূপে পরিগৃহীত হইয়া থাকে । স্ফটিক শ্বেতবর্ণ কিন্তু ইহা পিঙ্গলবর্ণ বা পীতবর্ণ হয় বলিয়া ইহাকে পীতমণি ও পিঙ্গল্ফটিক বলা যায়। হিমালয় ও সিন্ধু প্রদেশে এই রত্ন অধিক পরিমাণে উৎপন্ন হইয় থাকে । তাহার প্রমাণ পশ্চাৎ প্রদত্ত হইবে ।

রাজনির্ঘণ্ট নামক বৈদ্যশাস্ত্রে ইহার ভৈষজ্যোপযোগী গুণ এইরূপ নিৰ্ণীত হইয়াছে। যথা—অন্নরস, উষ্ণবীৰ্য্য, বাতনাশক, বিকারনাশক, উত্তেজক, অগ্নিশুদ্ধিকারক । জ্যোতিঃশাস্ত্র মতে ইং ধারণ করিলে পাপ নষ্ট হয়। শুক্রনীতি নামক প্রাচীন নীতিগ্রন্থের রত্নপরীক্ষাপ্রকরণে গোমেদমণি মহারত্ব মধ্যে পরিগণিত হই স্বাছে। যথা— - বজ্রং মুক্ত প্রবালঞ্চ গোমেদশ্চেন্দ্ৰনীলকঃ ।“ به বৈদুৰ্য্যঃ পুষ্পরাগশ্চ পাচিমাণিক্যমেব চ। মহারড্রানি চৈতানি নব প্রোক্তানি সুরিভিঃ ॥” উল্লিখিত শ্লোকে যে সকল মহরিত্নের উল্লেখ হুইয়াছে, তাহদের মধ্যে মুক্ত, মাণিক্য ও বৈদুৰ্য্য-রত্বের বিষয় আমরা বর্ণন করিয়াছি, এক্ষণে গোমেদ-মণির বর্ণন করা যাউক । * ... $ শুক্রনীতি প্রণেতা গোমেদ-মণিকে মহারত্ব মধ্যে পরিগণিত করিয়া অবশেষে বলিলেন - t -* “রত্নশ্রেষ্ঠতরং বজ্ৰং নীচে গোমেদবিক্রমে।” ९88