পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ձե, शृङ्गे-ुङ्छ । বৃহৎসংহিতাও প্রায় এইরূপ ব্যবস্থা করিয়াছেন,— “পাদন্ত্রাংশার্দ্ধোনং ত্রিভাগ পঞ্চাংশ ষোড়শাংশষ্ট । ভাগশ্চ পঞ্চবিংশ শতিকঃ সাহত্রিকশেচতি ॥” ত্রিভাগহীনে অৰ্দ্ধহীন, ত্রিংশং হীনে ত্রয়োদশ, অশীতি হীনে শতাংশ, এবং সহস্র ভাগে তদপেক্ষ অল্প। এই রীতিতে, প্রথম নির্দিষ্ট প্রমাণের যেমন হীন বা অল্পত হইবে, সেই সেই ক্রমে মূল্যেরও অল্পত হইবে। “আনেনপি হি দোষেণ লক্ষ্যালক্ষেণ দূষিতম্। স্বমূল্যাৎ দশমং ভাগং মূল্যং লভতি মানব: ॥” উচিত ওজনের হীরা যদি পূৰ্ব্বোক্ত দোষে দূষিত হয়, তবে বিক্রেতা মানব তাহার মূল্য, নির্দিষ্ট মূল্য অপেক্ষ দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র পাইবেন। “প্রকটানেকদোযস্ত স্বল্পস্ত মহতোহপি বা । স্বমূল্যাচ্ছতশোভাগে বজ্রস্ত ন বিধীয়তে ॥” “স্পষ্টদোষমলঙ্কারে বজ্ৰং যদ্যপি দৃশুতে । রত্নানাং পরিকল্মাৰ্থং মূল্যং তস্ত ভবেল্লঘু।” হীরক স্বল্প হউক, আর বৃহৎ হউক, যদি তাহাতে অনেক দোষের প্রকাশ থাকে,তবে তাহার মূল্য প্রকৃত মূল্যের শও ভাগের এক ভাগ বিধান করাও কৰ্ত্তব্য নহে। যদি অলঙ্কারে দোষযুক্ত হীরক থাকে, তবে তাহার মূল্য অল্প এবং হীরক কি অন্তান্ত রত্ন যদি পরিকশ্বীকৃত ( পালিশ ) না হয়, তাহ হইলে, সেই অপরিকর্মীকৃত রত্বের পরিকশ্ন করাইবার জন্ত মূল্যেরও অল্পত হইবে । এতদ্ভিন্ন বৃহৎসংহিতাকার বলেন যে, যে সকল হীরকে কাকপদ,মক্ষিক, কেশ, ধাতুযুক্ততা, শর্করাবিষ্ক, লিপ্ত (কলুষিত, ত্রস্ত, বিশীর্ণ বুদ্ধ,দ, দলিতাগ্র, চিপিট, বাসাফলবৎ দীর্ঘতা প্রভৃতি দোষ থাকে, সে সকল হীরকের প্রকৃত অর্থাৎ নিদোষ হীরকের মূল্য অপেক্ষ আট ভাগ নুনি মূল্য অবধারণ করবে। যথা— “কাকপদ মক্ষিক কেশধাতুযুক্তানি শর্করাবিন্ধম্। দ্বিগুণাশ্রিদগ্ধ কলুষ ত্ৰস্তবিশীর্ণানি ন শুভানি ॥ যানি যানি চ বুদবুদদলিতাগ্ৰচিপিটবাসাফলপ্রদীর্ঘাণি । সৰ্ব্বেষাং চ তেষাং মূল্যাৎ ভাগেইষ্টমোহানিঃ ॥” অপিচ, মহর্ষি শুক্রাচাৰ্য্য স্বকৃত নীতিগ্রন্থের রত্ন প্রকরণে বলিয়াছেন যে, রাজাদিগের দোষ-গুণেই রত্ন সকলের মূল্যের অল্পত বা আধিক্য হইয় থাকে। २६y