ভারতীয়হস্ত। ' “উল্লামনং প্রপাতশ্চ স্ফোটনং জারণং কথা । ’ চত্বার্য্যেতানি দ্রুঘণে বলগিতানি শ্রিতানি বৈ ।” উৰ্দ্ধে উঠান, প্রপাতন (ফেলিয়া মারা ), স্ফোটন অর্থাৎ ফুটান, এবং দারণ অর্থাৎ বিদীণীকরণ । এই চারি প্রকার কার্য্য ক্রঘণের আশ্রিত । তোমর-এই তোমরাস্ত্র সম্বন্ধে তিন প্রকার উল্লেখ দেখা যায় । বৈশম্পায়ন মুনির ধমুৰ্ব্বেদ অনুসারে ইহা এক প্রকার লৌহফলক ও কাষ্ঠদণ্ডযুক্ত তীর। শাঙ্গ ধরসংগৃহীত ধমুৰ্ব্বেদের মতে ফলবিশিষ্ট শলাকাকার লৌহতীর এবং অগ্নিপুরাণোক্ত ধনুৰ্ব্বেদের মতে সরলপক্ষযুক্ত তীর। ফল সকল মতেই ইহা ধনুঃক্ষেপ্য তীরই হইতেছে। ইহার আকার সম্বন্ধে প্রথমোক্ত ধনুৰ্ব্বেদে যাহা লিখিত আছে, তাহা এই— “তোমরঃ কাষ্ঠকায়ঃ স্থাৎ লৌহশীর্ষ সুপুচ্ছবান । হস্তত্রয়োন্নতাঙ্গশ্চ রক্তবর্ণস্তুবক্রগঃ ॥” তোমরের শরীরটি কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত, তাহার শীর্ষক অর্থাৎ ফল লৌহময়, হস্তব্ৰহ্মপরিমাণ লম্বা, রক্তবর্ণ ও পুচ্ছ-ধারী। ইহার গতি অবক্র অর্থাৎ সরল। এই মৰ্ম্ম বজায় রাখিয় শাঙ্গাধর একটা অতিরিক্ত কথা বলিয়াছেন। যথা— "ফণবৎ শীর্ষদেশ: স্তাত্তোমরস্তায়সস্তথা ।” অর্থাৎ ফণিফণাকার ফলাযুক্ত লেহতীরের নাম তোমর। অগ্নিপুরাণোক্ত ধনুৰ্ব্বেদে ইহার আকার বা গঠন ভঙ্গী লিখিত হয় নাই, কিন্তু ক্রিয়াগুলি সমস্তই লিখিত হইয়াছে। যথা— * “দৃষ্টিঘাতং ভূজাঘাতং পার্শ্বঘাতং দ্বিজোত্তম। ঋজুপক্ষেষুণ পাতং তোমরস্ত প্রকীৰ্ত্তিতম্।” বৈশম্পায়ন মুনির লিখিত তোমরাস্ত্রের কার্য্যও তিন প্রকার। “উদ্ধানং বিনিযুক্তিশ্চ বেধনঞ্চেতি তন্ত্রিকম্। বলগিভং শস্ত্রতত্ত্বজ্ঞা: কথয়ন্তি নরাধিপা: | 據 শস্ত্রতত্ত্বজ্ঞ রাজার বলেন যে, তোমরের তিন প্রকার কার্য্য । প্রথমে উদ্ধান (উদ্ধকরণ), দ্বিতীয় বিনিযুক্তি অর্থাৎ প্রয়োগ এবং তৃতীয় ৰেধন অর্থাৎ লক্ষ্য শরীরের ছিদ্রী করণ । # নলিকা —এই অস্ত্রের নলিকা, নালীক, নাল এই তিনটী নাম আছে। বৈশম্পায়ন মুনির ধন্থৰ্ব্বেদ, অস্বরাচার্য শুক্র ঋষির নীতিশাস্ত্র, শঙ্কিশ্বর সংগৃহীত খজুৰ্ব্বেদ ও বীরচিন্তামণি প্রভৃতি পুরাতন গ্রন্থে ইহার বিস্পষ্ট বিবরণ পাওয়া যায়,
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।