} е е রত্ন-রহস্ত । পৰিমিত উত্তম হীরকের যে মূল্য, এক বর্গ-রতি চিপীট হীরকের মূল্য তাহার এক তৃতীয়াংশ হীন এবং এক শর্করাম্ভ হীরকের মূল্য তাহার অৰ্দ্ধ। এক বর্গ-রতি এক খণ্ড হীরকের ৰে মূল্য, ছুই খণ্ডে এক বর্গ-রতি হইলে তাহ তাহার অৰ্দ্ধ-মূল্য এবং বস্থখণ্ডে এক বর্গ-রতি হইলে তাহ তদপেক্ষ অৰ্দ্ধ-মূল্য হইবার যোগ্য। এইরূপ, গুণের অল্পতা ও আধিক্য অনুসারেও মূল্যের উত্তমাধম-মধ্যমত কল্পনা করিবেক । অর্থাৎ অল্পগুণ হীরক সৰ্ব্বগুণ-সম্পন্ন হীরক অপেক্ষা অৰ্দ্ধমূল্য এবং মধ্যমগুণযুক্ত হীরক মধ্যম মূল্য, ইত্যাদিক্ৰমে নির্ণয় করিবেক । সমদ্বিগুণিত রতির নাম বর্গ-রতি, যত বর্গ-রতিই হউক, তাহার উপর স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র নবকল ও পাচ অংশ যোজনা করিবেক । প্রথম স্থাপিত নবকলাকে ৩০ দিয়া ভাগ করিলে যাহা অবশিষ্ট থাকে অথবা যত ভাগ হয়, ততকে কল সংখ্যায় যুক্ত করিবেক । অনস্তর কল সংখ্যার ২৬ অংশ অবলম্বন করিয়া মূল্যাবধারণ করিবেক । এই নিয়মটি মুক্তামূল্যের জন্ত ব্যবস্থিত হইলেও হীরকের বর্গ-কল্পনা ইহারই দৃষ্টাস্তে কৃত হইত। অপিচ, রত্বের মূল্যসম্বন্ধে আর একটি নিয়ম আছে, তাহ সৰ্ব্বরত্ন সাধারণ্যেই ব্যবহৃত হইয়া থাকে। সে নিয়মটি এই যে— “মূল্যাধিক্যায় ভবতি যদ্রত্নং লঘু বিস্তৃতম্। গুৰ্ব্বল্পং হীনমৌলায় স্তদ্রতুং ত্বপি সদগুণম্।” শুক্রনীতি । যে রত্ন লঘু অথচ দেখিতে বড়—তাহার মূল্য অধিক । আর যাহা দেখিতে ছোট অথচ ওজনে ভারি—তাছা গুণযুক্ত হইলেও অল্প মূল্য হইবেক । উপসংহার। পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষের ও চীনদেশের রত্নবিৎপণ্ডিতের উত্তমরূপে কাটির হীরকের দীপ্তি প্রকাশ করিতে অবগত ছিলেন । প্রাচীন কালের ইউরোপীয়গণ খনি হইতে হীরক প্রাপ্ত হইলে; তাহ পরিষ্কৃত করিয়া অলঙ্কারে ব্যবহার করিতেন ; কিন্তু হীরক কাটিয় তাহার ঔজ্জ্বলা-প্রকাশের নিয়ম পঞ্চদশ খৃষ্টাবো লুই ভ্যান্থ য়র্গেন দ্বারা প্রকাশিত হয়। ভারতবর্ষের গলকওর হীরক অতি পূৰ্ব্বকাল হইতে প্রসিদ্ধ। বোৰ্ণিং ও মলঙ্কায় যে হীরক প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহ উৎকৃষ্ট শ্রেণীর নহে। অষ্টাদশ άΨιν
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।