奪·竇曾 { لاه لا খৃষ্টাব্দ হইতে প্রচুর-পরিমাণে ত্ৰেজিলে হীরক প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে। ইহা ভিন্ন অধুনা ইউরেল পৰ্ব্বত, উত্তর আমেরিকার কোন কোন অংশ, অস্ত্রেলিয়া ও আফিকায় হীরক পাওয়া গিয়া থাকে। এ পর্যন্ত যত হীরক প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে, তাহার মধ্যে ভারতবর্ষীয় হীরক উত্তম, সৰ্ব্ব প্রসিদ্ধ ও বহুমূল্য। কিংবদন্তী আছে যে, কোহিমুর নামক হীরক শ্ৰীকৃষ্ণের হস্তে শোভা বিস্তার করিয়াছিল। ভাগবত ও বিষ্ণুপুরাণ প্রভৃতি প্রাচীন আৰ্য্যগ্রন্থে লিখিত আছে হে, স্ত্রীকৃষ্ণের সামন্তক নামক একখানি উৎকৃষ্ট মণি ছিল । জৈনাচাৰ্য্য হেমচন্দ্র লিখিয়াছেন যে,-- “মণি: স্তমস্তকোহস্তে ভুজমধ্যে তু কৌস্তুভঃ ” শ্ৰীকৃষ্ণের হন্তে স্যমন্তক মণি ছিল। বিষ্ণুপুরাণে লিখিত আছে যে, শ্ৰীকৃষ্ণ তাহা আক্ররকে প্রদান করেন। তৎসম্বন্ধে জনপ্রবাদ এই যে, সেই স্যমন্তকমণিই বে হিমুর আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছে । যাহাই হউক, কোহিমুর র্যে স্যমন্তকমণি— তাহার কোন প্রমণ নাই । স্যমন্তকমণির সংক্ষেপ বৃত্তান্তটি পরিশিষ্ট্রে লিখিত হইবেক । ইহার প্রাচীন ইতিবৃত্ত আর বিশেষ কিছুই জ্ঞাত হওয়া যায় না । ইহা কোন এক অজ্ঞাত-ঘটনায় আলাউদ্দীনের হস্তগত হয়। পরে, ১৫২৬ খৃষ্টাব্দে মুলতান বাবর ইহা বছহত্নে অঙ্গে ধারণ করিয়াছিলেন। ফরাশীশ, ভ্রমণকারী টাবরূনিয়ার আরঙ্গজীবের নিকটে কোহিমুর দর্শন করিয়াছিলেন । এ সময় হর্টন সিও বর্জিয়া ইহা কাটিয়া মুদৃগু করিতে গিয়া, তাহার দীপ্তির হানি করিয়াছিল, এজন্ত নৃপতি আরঙ্গ জীব তাহাকে অপমানিত করিয়া রাজ্য হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিয়াছিলেন। দিল্লী হইতে নাদির সাহা ইহ লুণ্ঠন করিয়া লইয়া ধাম, তৎপরে তাহার বংশধরের নিকট হইতে আহম্মদ সাহ প্রাপ্ত হইলে, তৎপুত্র স৷ সুজার নিকট হইতে উহা মহারাজ রণজিৎ সিংহ গ্রহণ করিয়া স্ববাহুতে ধারণ করেন। ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের পঞ্জাব জয়ের পরে কোহিমুর ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে মহা-; রাণী ভিক্টোরিয়ার নিকটে প্রেরিত হয়। ১৮৫১ খৃষ্টাব্দের ইংলণ্ডীর মহাপ্রদর্শনে উহ! প্রদর্শিত হইয়াছিল। সে সময়ে আমষ্টারডম্ নগরবাসী কাষ্টার নামক একজন প্রসিদ্ধ রত্নব্যবসায়ীর দ্বারা উহার উত্তমরূপ অস্ত্রীকরণ ও পরিকল্ম সাধিত হইয়াছিল। ভূমণ্ডলের রাজভাওরে হত হীরক আছে, তাহার মধ্যে কোহিনুর সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । উহা এক্ষণে মহারাষ্ট্ৰী এম্প্রেস্ ভিক্টোরিয়ার মুকুটে, পরিশোভিত্ত রছিয়াছে। ,
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।