>>等 अङ्ग-ङ्गङ्छ । মরক্ত অর্থাৎ মরকত মণির বর্ণ, শুক পক্ষীর পক্ষের সদৃশ, স্নিগ্ধ, লাবণ্যযুক্ত এবং মুনিৰ্ম্মল। ইহার অভ্যন্তর যেন স্বহ্মসুবর্ণচূর্ণ পরিপূরিত রহিয়াছে বলিয়৷ জ্ঞান হয়। এ লক্ষণটি সকল পান্নায় থাকে না । ( কেহ কেহ এ লক্ষণকে ভাল বলেন না ) । “ইন্দ্রীযুদ্ধসগর্ভেণ হরিতেন সমপ্ৰভম্। কীরপক্ষসমছায়ং গরুড়োর:সমুদ্ভবম্ । শ্লক্ষং মরকতং কাস্তং নলিকাগ্রদলপ্ৰভম্।” মানসোল্লাস । ইন্দ্ৰধনুর গর্ভস্থ হরিদ্বর্ণের ন্যায় বর্ণ, নীলকণ্ঠ বা ময়ুর পক্ষীর পক্ষের ন্যায় কান্তিবিশিষ্ট, মনোহর ও কমনীয়কান্তি মরকত গরুড়ের বক্ষ হইতে উদ্ভূত হইয়াছিল । তাহা তুরস্কদেশার নলিকা নামক তৃণের অগ্রভাগের প্রভার ন্যায় প্রভাবিশিষ্টও হইয়া থাকে । “স্বচ্ছঞ্চ গুরু সচ্ছায়ং স্নিগ্ধগাত্রঞ্চ মাদিবসমেতম। অব্যঙ্গং বহুরঙ্গং শৃঙ্গারীং মরকতং শুভং বিভূয়াৎ ॥” রাজনির্ঘণ্ট । স্বচ্ছ অর্থাৎ মুনিৰ্ম্মল, ওজনে ভারি, ছায়াযুক্ত, স্নিগ্ধগাত্র, অতীক্ষকান্তি, অব্যঙ্গ অর্থাৎ অঙ্গহীন নছে বা সুন্দর গঠন, শৃঙ্গারগুণবদ্ধক ;–এরূপ শুভ মরকত ধারণ করাই কৰ্ত্তব্য । “শর্করিলকলিলরুক্ষং মলিনং লঘুহীনকান্তিকল্মষম্। ত্ৰাসযুক্তং বিকৃতাঙ্গং মরকতমমরোহপি নোপর্ভুঞ্জীত ॥” - রাজনির্ঘণ্ট । শর্করল অর্থাৎ কাকরদার, কলিল অর্থাৎ আবিল, রুক্ষ অর্থাৎ অস্নিগ্ধ মলিন, ওজনে হালকা, হীনকান্তি, কন্মাযবর্ণ, ত্রাসদোষযুক্ত, বিকৃতাঙ্গ অর্থাৎ মন্দ গঠন,— অমর হইলেও ঈদৃশ মরকত ধারণ করিবেন না। এতদ্ভিন্ন গরুড়পুরাণের ৭১ অধ্যায়ে ইহার উৎপত্তি, আকর, বর্ণ, ছায়া, দোষ, পরীক্ষা ও মূল্যাদি উত্তমরূপে নির্ণীত হইয়াছে। পাঠকগণের পরিতৃপ্তির জন্য তাহাও এস্থলে উদ্ভূত করা গেল । २**
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।