পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্ত{ >>* রঞ্জকত,-মরকতমণিতে এই সাত প্রকার গুণ আছে। মতান্তরে সাতটি দোষ ও পাচটি গুণের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। যথা— ” “ঘোষাঃ সপ্ত ভবস্ত্যস্ত গুণঃ পঞ্চবিধা মতাঃ।” সেই মকশ্বগু মণির সাত প্রকার দোষ ও পাচ প্রকার গুণ আছে। যথা— “অস্নিগ্ধং রুক্ষমিত্যুক্তং ব্যাধিস্তম্মিন ধৃতে ভবেৎ। বিস্ফোটঃ স্ত্যাৎ সপিড়কে তত্ৰ শস্ত্রইতিভবেৎ ॥ সপাষাণে ভবেদিষ্টনাশে মরকতে ধৃতে । বিচ্ছায়ং মলিনং প্রাহুর্বর্য্যতে ন তু ধাৰ্য্যতে | শর্করং কর্করাযুক্তং পুত্ৰশোকপ্রদং ধৃতম্। জরঠং কান্তিহীনস্তু দংষ্টি বহ্নিভয়াবহম্ ॥ কল্মাষবৰ্ণং ধবলং ততো মৃত্যুভয়ং ভবেৎ। ইতি দোষাঃ সমাখ্যাত বর্ণ্যস্তেহথ মহাগুণঃ ” রক্ষ, বিস্ফোট, সপাষাণ, বিচ্ছায়, শর্কর, জরষ্ঠ বা জঠর ও ধবল,—এই সাতটি মহাদোষ বলিয়া গণ্য । রুক্ষ—অস্নিগ্ধ। রুক্ষ বা অস্নিগ্ধ মরকত ধারণ করিলে ব্যাধি জন্মে। বিস্ফোট—পিড়কাযুক্ত ( ফুসকুড়ির ন্যায় স্থল্ম স্বশ্ন বিন্দুমালায় আচিত )। এই বিস্ফোট মরকত ধারণ করিলে শস্ত্রাঘাতে মৃত্যু হয়। সপাষাণ— অন্য প্রস্তরখণ্ডযুক্ত। সপাষাণ মরকত ধারণ করিলে ইষ্টনাশ হয়। বিচ্ছায়মলিন অথবা বিকৃতবর্ণ। এই বিচ্ছায় মরকত পরিত্যাগ করিতেই হয়, ধারণ করিতে হয় না। শর্কর-কাকরদার। কার্করদার মরকত ধারণ করিলে পুত্ৰশোক উপস্থিত হয় । জরঠ—কান্তিহীন । জরঠ বা কাস্তিবর্জিত মরকত ধারণ করিলে দস্তুর ( জন্তুর ) ভয় ও বহ্নিভয় উৎপন্ন হয় । ধবল—কন্মষ অর্থাৎ বিচিত্র বা বিরুদ্ধ বর্ণযুক্ত। এই ধবল মরকত ধারণ করিলে মৃত্যুভয় জন্মে। মরকত মণির সাত প্রকার মহাদোষ ব্যাখ্যাত হইল, এক্ষণে পাচ প্রকার মহাগুণের বর্ণনা করিব । “নিৰ্ম্মলং কথিতং স্বচ্ছং গুরু স্থাৎ গুরুতাযুতম | স্নিগ্ধং রুক্ষবিনিন্মুক্তমরজঙ্কমরেণুকম্। মুরগিং রাগবহুলং মণেঃ পঞ্চগুণ মতাঃ। এতৈযুক্তং মরকতং সৰ্ব্বপাপভয়াপহম্।।” &\rt