রত্ন-রহস্ত । >२१ তেজোইতিদীপ্তিকুলপুষ্টিবিহীনবর্ণঃ কর্কেতনস্ত সদৃশং বপুরুদ্ধহস্ত ॥” কোন কোন বিকৃতকার কৃষ্ণবর্ণ নিস্তেজ দীপ্তিহীন পুরুষ এই রত্ন ধারণ করিয়া কর্কেতনের সদৃশ শরীর লাভ করিয়াছেন। মূল্য। “কৰ্কেতনং যদি পরীক্ষিতবর্ণরূপং প্রত্যগ্রভাস্বরদিবাকরমুপ্ৰকাশম্। তস্তোত্তমস্ত মণিশাস্ত্রবিদা মহিমা তুল্যস্তু মূল্যমুদিতং তুলিতস্য কাৰ্য্যম্।।” কর্কেতন-মণি যদি পরীক্ষসিদ্ধবর্ণ ও রূপাদিবিশিষ্ট হয় এবং নবেদিত সুৰ্য্যের চীর সুপ্রকাশ স্বভাব হয়, তবে তৎসম্বন্ধে মণিশাস্ত্রবিৎ পণ্ডিতগণের মত এই যে, সেই উত্তম কর্কেতনের মহিমার অনুরূপ মূল্য নির্ণয় করা কৰ্ত্তব্য। স্ফটিক । ইহাও এক প্রকার প্রস্তর এবং একাদশ রত্বের মধ্যে পরিচিত । ইহার এক জাতি “স্বৰ্য্যকান্ত মণি” নামে বিখ্যাত এবং অন্ত এক জাতি চন্দ্রকান্ত” নামে প্রসিদ্ধ। যাহাতে স্বৰ্য্যকান্ত কি চন্দ্রকাস্তের গুণ নাই তাহা স্ফটিক। এই রত্নটি স্ফটিক, স্ফটিক, স্ফটিকোপল, ভাস্কর, শালিপিষ্ট, ধোঁতশিল, সিতোপল, বিমলমণি, নিৰ্ম্মলোপল, স্বচ্ছ, স্বচ্ছমণি, অমররত্ন, নিস্তষ রত্ন, শিবপ্রিয় ইত্যাদি নান নামে খ্যাত। যাহার সংস্কৃত নাম স্বৰ্য্যকাস্তমণি, ভাষায় তাহাকে “আতস পাথর” বলে । গরুড়পুরাণ ও কল্পদ্রুমধৃত যুক্তিকল্পতরু নামক গ্রন্থে এই স্ফটিকরত্নের পরীক্ষাদি অভিহিত হইয়াছে, তদ্ভিন্ন মানসোল্লাস, অগ্নিপুরাণ ও মণিপরীক্ষা গ্রন্থেও ইহার পরীক্ষাদি বর্ণিত আছে। যথা— “যদগঙ্গাতোয়বিন্দুচ্ছবি বিমলতম নিস্তুষং নেত্ৰহৃদ্যম্ স্নিগ্ধং শুদ্ধান্তরালং মধুরমতিহিমং পিত্তদাহাস্ৰহারি । পাষণে যদৃিষ্টং স্কুটতমপি নিজাং স্বচ্ছতাং নৈৰ জহাৎ তজ্জাত্যং জাতু লভ্যং শুভমুপচিচুতে শৈবরত্নঞ্চ রত্নম্।” গরুড়পুরাণ।
- :4
8 p.