রঞ্জ-রঞ্জ । ్చు: হিমান্দ্রে চন্দ্রলঙ্কাশং স্ফটিকং তৎ দ্বিধা ভবেৎ। স্বৰ্য্যকাস্তঞ্চ তত্রৈকং চক্ৰকান্তং তথাছপরম, ॥” - হিমালয়প্রদেশে, সিংহলদেশে ও বিন্ধ্যাচলসমীপবৰ্ত্তী স্থানসমুদ্ৰায়ে স্ফটিকেল্প খনি আছে। তাছাতে নানা বর্ণের তুল্যকাস্তিবিশিষ্ট স্ফটিক উৎপন্ন হয়। পরস্থ হিমালয়ে যে স্ফটিক উৎপন্ন হয়, তাছ চন্দ্রকিরণের ন্যায় শুভ্র বর্ণ। গুণ অনুসারে ইহা অাবার দুই প্রকার । তাহার এক প্রকারের নাম স্থৰ্য্যকাস্ত ও অপর প্রকারের নাম চন্দ্রকান্ত স্বৰ্য্যকান্ত ও চন্দ্রকাস্ত স্ফটিকের লক্ষণ ও পরীক্ষা এইরূপ-- “স্বৰ্য্যাংগুম্পর্শমাত্রেণ বহ্নিং বমতি যৎ ক্ষণাৎ । স্বৰ্য্যকান্তং তদাখ্যাতং স্ফটিকং রত্নবেদিভিঃ ॥” “পুর্ণেন্দুকরসংস্পৰ্শাৎ অমৃতং অবতে ক্ষণাৎ। চন্দ্রকান্তং তদাখ্যাতং দুর্লভং তৎ কলেী যুগে ॥” যে স্ফটিক স্বর্যাকিরণে রাখিলে বহ্নি উদগিরণ করে, তাহার নাম “স্বৰ্য্যকাত্ত স্ফটিক” । ইহারই নাম অতিস পাথর। আর যাহা চন্দ্রকিরণে রক্ষা করিলে জলস্রাব হয়, রত্নতত্ত্ববেত্ত্বগণ তাহাকে “চন্দ্রকাস্ত” আখ্যা প্রদান করেন । এই চন্দ্রকান্ত স্ফটিক কলিযুগে অর্থাৎ বর্তমানকালে দুর্লভ। বোধ হয়, এখন আর উছ জন্মে না । সুশ্রুত নামক বৈদ্যকগ্রন্থে লিখিত আছে যে,— “চন্দ্রকাস্তোদ্ভবং বারি পিত্তয়ং বিমলুং স্মৃতম্।” চন্দ্রকস্তসন্থত জল অতি নিৰ্ম্মল, শীতল ও পিত্তনাশক। যুক্তিকল্পতরুর মতে স্ফটিক বর্ণ ও গুণানুসারে বহুপ্রকার। যথা— “অশোকপল্লবছায়ং দাড়িমীবীজসন্নিভম্। বিন্ধ্যাটবিতটে দেশে জায়তে মন্দকান্তিকম্ ॥ সিংহলে জায়ক্তে কৃষ্ণমাকরে গন্ধনীলকে । পদ্মরাগভবে স্থানে দ্বিবিধং স্ফটিকং ভবেৎ ॥ অত্যস্তুনিৰ্ম্মলং স্বচ্ছং স্রবর্তীব জ্বলং গুচি । জ্যোতিৰ্জ্জলনমাশ্লিষ্টমুক্ত{ং জ্যোতীরসং দ্বিজ ॥ তদেব লোহিতাকারং রাজাবর্তমুদাহৃতম্। আনীলং তত্ত্ব, পাষাণং প্রোক্তং রাজময়ং শুভম্।" "ব্রহ্মস্বত্রময়ং বস্তু প্রোক্তং ব্রহ্মময়ং দ্বিজ।” বিষ্কারণ্যসমীপন্থ দেশসমূহে যে স্ফটিক জন্মে তাহ অতি হীনকাস্তি এবং ❖ፄ
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।