রত্ন-রহুপ্ত । ఫిఖీ উপরত্ব। প্রধান ও বহুমূল্য রত্নসম্বন্ধে সমস্ত কথাই বলা হইয়াছে। এক্ষণে উপরন্থ সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলিয়া প্রবন্ধ শেষ করিব। উপরত্ব--অর্থাৎ মণি তুল্য কাচাদি । “উপমিতং রড্রেন” এই ব্যুৎপত্তি অনুসারে কাচ ও অন্তান্ত প্রকার সামান্ত মূল্যের প্রস্তর সকল উপরন্তু বলিয়া গ্রাহ। কৃষ্টল, ও দুগ্ধপাষাণ প্রভৃতি পাথর-যাহ প্রায় রত্নতুল্য--সেই সমস্তই সংস্কৃতশাস্ত্রে উপরন্তু নামে খ্যাত। পূৰ্ব্বকালে মুক্তাগুক্তি অর্থাৎ মুক্তর ঝিনুক ও শঙ্খ প্রভৃতিও সমান্তকারে রত্ন নামে গৃহীত হইত। সেই জন্তই ভাবপ্রকাশ বলিয়াছেন, যে--- “উপরন্ত্রানি ক{চশ ক পূরশ তথৈবচ | মুক্তাগুক্তিস্তথা শঙ্খ ইত্যাদীনি বহুগুপি ॥” কাচ, কপূরশ্ন, অর্থাৎ শ্বেতপ্রস্তর ( ইহাকেই অধুন মার্বেল বলিয়া থাকে ) মুক্ত{গুক্তি, শঙ্খ, ইত্যাদি বহু প্রকার উপরত্ব আছে। উপরত্ব সকল প্রায় রত্নতুল্য গুণসম্পন্ন। যাহ জাত্যরত্বের বিজাত অর্থাৎ ঝুঠাপাথর তাহাও উপরত্ব বলিয়া গণ্য। জাত্যরত্ন অপেক্ষ উপরত্বের গুণ অল্প বলিয়া সেই সেই উপরতুকে স্বতন্ত্র পদার্থ বলিয়া গৃহীত হইয়া থাকে । যথা— “গুণ যথৈব রত্নানাং উপরত্নেষু তে তথা । , কিন্তু কিঞ্চিত্ততে হীন বিশেষে{হত উদাহৃত: ॥” রাজপট্ট নামক এক প্রকার হীরক আছে। তাহাও অল্প মূল্য বলিয়া উপরন্থ মধ্যে গণ্য। “রাজপট্রং বিরাটজম্” বিরাটদেশেৎপন্ন অল্প মূল্যের হীরককে রাজপট্ট বলে । অপিচ
- উপলনি বিচিত্রানি নানাবর্ণাঙ্গনেকধ । দৃশুস্তে রত্নকরানি তেষাং মূল্যং ন করয়েৎ ॥” অনেক বর্ণের ও অনেক আকারের উপল দেখা যায়—সে সমুদায়ই উপরন্ধু । সে সকল উপর দৃপ্ততঃ রত্নতুল্য হইলেও তাহদের মূল্যসম্বন্ধে কোন বিধি নাই ।
অয়স্কান্তমণি ও দুগ্ধপাষাণ ( মার্বেল পাথর ) প্রভৃতিও উপরত্বমধ্যে গণ্য। উপরোক্ত ভাবপ্রকাশের বচনে “কাচ” শব্দ দেখিয়া কাচের প্রাচীনত্ব পক্ষে ংশয় জন্মিতে পারে না। তথাপি অন্তান্ত প্রাচীন গ্রন্থ হইতেও দুই চারিটি কাচ শবের উল্লেখ প্রদর্শিত হইতেছে।. १***