পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ళిశీ- - ब्रु-ब्रुङ्छ । আজকাল কাচের উন্নতি দেখিয়া অনেকেই মনে করিয়া থাকেন, যে কাচ ইংরাজজাতির আবিষ্কৃত বস্তু । বস্তুতঃ তাহা নহে। অনু্যন ৩••• তিন সহস্ৰ বৎসর পূর্বে এদেশে কাচের ব্যবহার ছিল, ইহা সপ্রমাণ হয়। উক্ত সময়ের লোকের কাচের প্রকৃতি বিষয়ে অনভিজ্ঞ ছিলেন না, ইহাও জানা যায়। পঞ্চতত্ত্ব নামক পুরাতন গ্রন্থে লিখিত আছে যে, "কাচঃ কাঞ্চনসংসর্গাৎ ধত্তে মারকতীং দ্যুতিম্।” এই উল্লেখটি পুরাণ হইতে সংগৃহীত। এতদ্ভিন্ন “আকার পদ্মরাগাণাং জন্ম কাচনণেঃ কুতঃ ?” এই বচনটি ও বহু প্রাচীন। সুশ্রুত নামক প্রাচীন বৈস্তকগ্রন্থেও কাচের ভূয়োভূয়: উল্লেখ দৃষ্ট হয়। যথা— “পানীয়ং পানকং মদ্যং মৃন্ময়েষ্ণু প্রদপয়েৎ । কাচস্ফটিকপাত্ৰেষু শীতলেষু শুভেষু চ ॥” জল, সর্বৎ ও মদ্য, মৃন্ময়পাত্র, কাচপাত্র ও স্ফাটকপাত্রে ব্যবহার করিবে । এই সকল পাত্র শীতল ও শুভ অর্থাৎ দোষাবহ নহে । অপিচ,— “অমুশস্ত্রাণি তু ত্বক্সারস্ফটিক-কচেকুরুবিন্দtঃ।” মুশ্রুত ঋষি শস্ত্রচিকিৎসা প্রকরণে প্রধান প্রধান অস্ত্রের উল্লেখ করিয়া অবশেষে কতকগুলি অঙ্কুশস্ত্রের কথা বলিয়াছেন তন্মধ্যে ত্বক্সার, অর্থাৎ বাশের চ্যাচাড়ি, কাচ, ও কুরুবিন্দ নামক প্রস্তরই প্রধান । এই দ্রব্যের দ্বারা আংশিক শস্ত্রকাৰ্য্য সমাধা হয় বলিয়া অমুশস্ত্র আখ্যা প্রদত্ত হইয়াছে। সুপি পৰ্যন্ত পল্লীগ্রামের দাই, বঁাশের চ্যাচাড়ি দিয়া নবপ্রস্বত শিশুদিগের নাড়ী ছেদকাৰ্য্য সমাধা করিয়া থাকে। অনেকের ভ্রম আছে যে, “প্রাচীনকালে কাচ ছিল না। যেখানে যেখানে কাচের উল্লেখ আছে—তাহ কাচ নহে। তাহ ফটিক। বর্তমান ক্ষীরসভূত কাচ তখন কেহই বিদিত ছিল না।" একথা যে নিতান্তই ভ্ৰমোচ্চারিত তাহ। উপরোক্ত শ্লোকে কাচ ও স্ফটিক পৃথকরূপে উল্লিখিত থাকায় সপ্রমাণ হইতেছে। ক্ষারসম্ভূত কাচ যে তৎকালে বর্তমান ছিল এবং কাচের প্রকৃতি যে ক্ষার তাহ নিম্নলিখিত মেদিনীকোষের উল্লেখ দেখিলে সপ্রমাণ হয় ।

  • ক্ষরঃ পুং লবণে কাচে ।” লবণ ও কাচ অর্থে ক্ষার শবা পুংলিঙ্গ। মেদিনীকারের মতে ক্ষার ও কাচ, নামমাত্রে ভিন্ন, বস্তুতঃ পদার্থ এক। অমরসিংহও “কাচ ক্ষরিং” এইরূপ উল্লেখ

করিয়া কাচের নামস্তর ক্ষার বলিয়াছেন । সুতরাং উত্তম বুঝা গেল যে, প্রাচীন фе е