景邨 - ভারত্ত-রহস্ত । শুক্রনীতি সম্বন্ধে যেরূপ প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহাতে উক্ত গ্ৰন্থখানি মহাভারত অপেক্ষাও পুরাতন। কেন না মহাভারতের শত শত স্থানে “শুক্রের নীতি” "শুক্রের বাক্য” “শুক্রের উক্তি” এইরূপ বলিয়৷ পশ্চাৎ যে সকল শ্লোক লিখিত হইয়াছে, সে সমস্তই আমরা এই গ্রন্থে দেখিতে পাই। ইচ্ছা হইলে পাঠকগণ মিলাইয় দেখিতে পারেন। দিকৃপ্রদর্শনের নিমিত্ত আমরা তাহার ২৪টা প্রতীক মাত্র উদ্ধৃত করিলাম। “অশিষ্টনিগ্রহেনিত্যং নিত্যং শিষ্টস্ত পালনম্। এবং শুক্রোইব্ৰবীন্ধীমানাপৎসু ভরতম্ভ ॥” “উশনাশ্চৈব দ্ধে গাথে প্ৰহলাদায়াত্ৰবীৎ পুরা ।” “অপিচোশনস। গীতঃ শ্রীয়তেইয়ং পুরাতনঃ ।” “শাস্ত্রং চোশনস প্রোক্তমিদং শৃণু ময়েরিতম্।” “ইত্যেতাস্থ্যশনঃপ্রোক্তাঃ ।” “কাব্যাং নীতিং ন শৃণোষি ।” সভা, বন ও উদ্যোগ পৰ্ব্বোক্ত বিছর বাক্য সকল দেখ ] শুক্র ও বৃহস্পতি এই দুই মহৰ্ষিই নীতিশাস্ত্রের আদি গুরু । শুক্রকৃত ও বৃহস্পতিকৃত নীতিশাস্ত্রের অনেক বচন মহাভারতে ও অন্তান্ত পুরাণে সংগৃহীত হইয়াছে। উপরোক্ত প্রতীকগুলির দ্বারা শুক্রাচার্য্যের নীতিশাস্ত্র থাকা সপ্রমাণ হইতেছে। ঐ সকল প্রতীক উচ্চারণের পরেই যে সকল নীতিকথা তত্তৎস্থানে লিখিত হইয়াছে, সে সকল কথা শুক্রনীতিতে অবিকলৰূপে লিখিত আছে। কুতরাং গ্রন্থখানিকে মহাভারত অপেক্ষ নবতর বিবেচনা করা যায় না । এ বিষয়ে আমরা এতদধিক বাক্যব্যয় করিতে চাহি না । এক্ষণে প্রকৃত প্রস্তাবের অনুসরণ করা যাউক । লগুড় -ইহার পাদপ্রদেশ সরু, মস্তক স্থল, স্কন্ধ মোট, অগ্রভাগটি লোঁহের দ্বার আবদ্ধ। অধিক লম্বা নহে, পরন্তু উপযুক্ত রূপ মোটা। ইহার সৰ্ব্বাঙ্গলোহার দ্বগু ও অত্যন্ত দৃঢ় ইহা লম্বে দুই হন্ত পরিমিত হইয়া “লগুড় স্বক্ষপদ স্থাৎ পৃথুংসঃ স্থলশীর্ষকঃ লৌহবষ্কাগ্রভাঙ্গাশ, হ্রস্বদেহঃ স্থপীবন্মঃ ॥ দওীকারোজপ তথা হস্তম্বন্ধোঙ্গভঃ ”
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।