পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্যজাতিরু যুদ্ধাস্ত্র। ३१ এই লগুড়ান্ত্রের ক্রিয় চারি প্রকার। যথা— “উথানং পাতনঞ্চৈব পেষণং পোথনং তথা ॥ চতস্রোগতয়স্তস্ত পঞ্চমী নেহু বিস্ততে। দৃঢ়কায়ঃ পত্তিবর্গে তেন যুদ্ধ্যেত শত্রুভিঃ ” উত্থান, পাতন, যাহাতে পড়িবে তাহার পেষণ ও পোথন । লগুড়ের এই চতুৰ্ব্বিধ ক্রিয় ভিন্ন পঞ্চমী ক্রিয়া নাই। দৃঢ়শরীর পদাতি সৈন্তেরাই ইহার দ্বারা যুদ্ধ করিয়া থাকে। & পাশ বৈশম্পায়নোক্ত ধনুৰ্ব্বেদে পাশাস্ত্র সম্বন্ধে যেরূপ বর্ণনা দৃষ্ট হয়, আগ্নেয় ধনুৰ্ব্বেদে তাহার সম্পূর্ণ প্রভেদ আছে। উক্তবর্ণনাদ্বয়ম্বারা অনুমান হয়, যে, পাশাস্ত্র দুই প্রকার ছিল । মহাভারতাদি গ্রন্থেও বরুণ পাশ ও পাশ, এই দুই পৃথক্ পাশের উল্লেখ আছে। বৈশম্পায়নোক্ত ধমুৰ্ব্বেদের পাশ এইরূপ-- “পাশঃ সুস্থঞ্জাবয়বোলোঁহধাতুস্ত্রিকোণবান। প্রাদেশপরিধিঃ সীসগুলিকাভরণাঞ্চিতঃ ” পাশ অতি স্থঙ্ক সূক্ষ্ম লৌহের দ্বারা নিৰ্ম্মিত, ত্রিকোণযুক্ত, প্রাদেশপরিমিভ পরিধিযুক্ত ও সীসক-গুলিকার দ্বারা মুশোভিত। এতৎ সম্বন্ধে আগ্নেয় ধনুৰ্ব্বেদের মত এইরূপ— “দশহস্তোভবেৎ পাশে বৃত্তঃ করমুখস্তথা । গুণকাপাসমুঞ্জানাং মর্কস্কায়বচৰ্ম্মণাম ॥ অন্তেষাং স্থদৃঢ়ানাঞ্চ স্বকৃতং পরিবেষ্টিতম্। তথা ত্রিংশৎসমং পাশং বুধঃ কুৰ্য্যাৎ মুবৰ্ত্তিতম্।” বৃত্ত অর্থাৎ গোল ও লম্বায় ১• ছাত, এরূপ পাশ গুণ রঙ্গ, কার্পাস রজু, মুঞ্জ নামক তৃণের রজু, পশুবিশেষের স্নায়ু, আকন্দুকের স্বত্র ও বিশেষের দ্বার প্রস্তুত হইয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন অন্তান্ত দৃঢ় অথচ স্বত্র প্রস্তুত হয়, এরূপ পদার্থের দ্বারাও হইতে পারে। সূক্ষ্ম ৩০ তন্তু একত্রিত ও সুবৰ্ত্তিত করিয়া, অর্থাৎ উত্তমরূপে পাক দিয়া প্রস্তুত করিতে হয়। এই পাশাস্ত্রের ক্রিয় এইরূপ— কৰ্ত্তব্যং শিক্ষকৈস্তস্ত স্থানং কক্ষামু বৈ সদা । বামহস্তেন সংগৃহ দক্ষিণেনোদ্ধরেস্তুতঃ ॥ কুণ্ডলস্তাকৃতিং কৃষ্ণ ভ্ৰাম্যকং মস্তকে পরি। - ক্ষিপেৎ,. . । ... . . . . . . . o