পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y ভারত-রহস্ত। r বলগিতে চ তে চৈব তথা প্রত্ৰজিতেষু চ । সমযোগবিধিং জ্ঞাত্ব প্রমুীত সুশিক্ষিতঃ ॥ বিজিত্য তু যথাস্তায়ং ততোবন্ধং সমাচরেৎ। কট্যাং বদ্ধ ততঃ খড়গং বামপাশ্বাবলম্বিনম্। দৃঢ়ং বিগৃহ বামেন নিষ্কর্ষেদক্ষিণেন চ৷” অর্থাৎ ইহা কক্ষপ্রদেশে রাখা হয়, প্রয়োগের সময় কুণ্ডলাকৃতি করিয়া মস্তকের উপর একার ঘুরাইয় প্রক্ষেপ করিতে হয়। এই অস্ত্রপ্রয়োগের তিন প্রকার গতি আছে। তাহদের নাম বলগণ, প্লবন ও প্ৰব্ৰজন। ইহার দ্বারা ইচ্ছামুরূপ বন্ধন পূর্বক স্বসকাশে আকর্ষণ করিয়া পশ্চাৎ কৃপাণ দ্বারা বধ করিতে হয়। এতদ্ভিন্ন ২৫ অধ্যায়ে অন্তরূপ ক্রিয়া লিখিত আছে। যথা— পরাবৃত্তমপাবৃত্তং গৃহীতং লঘুসংজ্ঞিতম্। উৰ্দ্ধক্ষিপ্তমধঃক্ষিপ্তং সন্ধারিতবিধারিতম্ ॥ গুেনপাত্তং গজপাতং গ্রাহগ্রাহং তথৈব চ। এবমেকাদশবিধ জ্ঞেয়াঃ পাশবিধারণাঃ ॥” বৈশম্পায়নোক্ত পাশ, যাহা প্রথমে উল্লেখিত হইয়াছে, তাহার কার্য্য এইরূপ-- k

  • প্রসারণং বেষ্টনঞ্চ কৰ্ত্তনঞ্চেতি তে ত্ৰয়ঃ। যোগাঃ পাশাভিতাঃ লোকে পাশাঃ ক্ষুদ্রসমাশ্রিতাঃ ॥” অগ্রে প্রসারণ, পশ্চাৎ তদ্বারা শক্রকে বেষ্টন, অনন্তর অস্ত্রান্তর দ্বার কৰ্ত্তন। পাশের এই তিন প্রকার প্রয়োগ আছে এবং ইহা ক্ষুদ্রযোদ্ধার আশ্রিত।

“ঋজায়তং বিশালঞ্চ তিৰ্য্যগত্রামিতমেব চ। পঞ্চকৰ্ম্ম বিনির্দিষ্ট ব্যস্তে পাশে মহাত্মভিঃ ”. অল্প এক প্রকার পাশ আছে, মহাত্মগণ তাহার পাচ প্রকার কার্য্য নিশ্চয় করিয়াছেন। সে পাঁচ প্রকার প্রায় প্রথমোক্তের তুল্য। চক্র—এই অস্ত্র কুণ্ডলাকার অর্থাৎ গোল। প্রান্তভাগ উত্তম কোণযুক্ত বা ধারাল। নীল-জলের স্থায় বর্ণ এবং মণ্ডল। পরিমাণে হুই প্রদেশ অর্থাৎ এক হস্ত। যথা— - “চক্ৰন্থ কুণ্ডলাকারমন্তে স্বশ্রিসমদ্বিতম। নীলমলিলবর্ণ তৎ প্রাদেশষ্যমণ্ডলম্।” i &