প্রথম পরিচ্ছেদ । Aటి বিষ্ণুপুরাণোক্ত এই বংশাবলীর মধ্যে সঞ্জাতের পরেই “শাক্য” নাম থাকার অবগুই আমরা বুদ্ধদেবের আদিপুরুষ সুজাতকে সঞ্জয় বা সঞ্জাত বলিয়া গ্রহণ করতে পারি এবং পূৰ্ব্বোৰু বৌদ্ধ ইতিহাসকে অভ্রান্ত বলিয়া স্বীকার করিতে পারি। বুদ্ধদেব ক্ষত্রিয়কুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, ইহা ব্যক্তি মাত্রেই জানেন। তিনি যে স্থৰ্য্যবংশীয় ইক্ষাকু-কুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহা সকলে বিদিত না থাকিতে ও পারেন ; একারণ আমরা বহু অমুসন্ধান দ্বারা তাহার আদি বংশ নির্ণয় করলাম । কপিলবস্তু নগর ও তাহার ইতিবৃত্ত । সুজাত রাজার নির্বাসিত পুত্রের বহুলোক সমভিব্যাহারে হিমালয়ের উৎসঙ্গ প্রদেশে কপিল নামক ঋষির আশ্রম-নিকটস্থ শাকোট বনে বাস করিলে, ক্রমে তথায় অন্তান্ত লোক গতিবিধি আরম্ভ করিল, নানাদেশীয় বণিকু তথায় গতিবিধি করিতে লাগিল । তখন র্তাহীদের ইচ্ছা হইল, আমরা এই স্থানেই থাকিব, অন্য কোথাও যাইব না । এখানে যখন বহুলোকের গমনাগমন আরম্ভ হইয়াছে, তখন এই স্থানেই আমাদের নগর-নিৰ্ম্মাণ করা সহজ হঠপে ; কিন্তু কপিল ঋষির অনুজ্ঞা ব্যতীত আমরা আমাদের ঈপ্সিত কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে পারিব না । ঋষি যদি আমাদিগকে এই স্থানে নগর নিৰ্ম্মাণ করিতে দেন, তাহ হইলেই আমরা নগরনিৰ্ম্মাণ নিৰ্ব্বাহ করিতে পারিব, অন্যথা পারিব না । কুমারগণ এইরূপ মন্ত্রণার পর ঋষির নিকট আপনাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে, ঋষি তাহাতে অনুমোদন করিলেন । অনস্তর তাহার সেই শাকোট বন কৰ্ত্তন করিয়া অতি উত্তম এক নগর প্রস্তুত করিলেন । কপিল নিজ আশ্রমে কুমারগণকে বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিতে দিয়াছিলেন, তৎকারণে সেই নবপ্রস্তুত নগরের ‘কপিলবস্তু” নাম প্রচারিত হইয়াছিল । এই বৃত্তান্তটা বৌদ্ধদিগের মহাবস্তু অবদান নামক প্রাচীন পুস্তকে তেষাং দানি কুমীরাণাং এতদভবৎ । ইত্যাদিক্ৰমে বর্ণিত হইয়াছে । সেই অংশের অমুবাদ যথা –কিছু দিন পরে কুমারের মনে করিলেন, আমরা এই শাকোটবনে নিবাস রচনা করিব । বহু মনুষ্য এখানে আগমন করিতেছে ; এজন্য নিশ্চিত আমরা এই স্থানে নগর প্রস্তুত করিতে পারিৰ । পরে কুমারের কপিল ঋষির .নিকট গমন করিলেন । তাহারা ঋষির
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।