আৰ্য্যজাতির যুদ্ধাস্ত্র। ৩৯ তাহার নীচে কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত যন্ত্র সংলগ্ন থাকে এবং তাছার উৰ্দ্ধকায় লৌহফলকে আবদ্ধ থাকে। মধ্যাঙ্গ ত্রিরশ্রি অর্থাৎ তে-শিরে, এবং তাহার ধারণের মুট, অতি সুন্দর। তাহার বর্ণ কৃষ্ণরক্ত। ইহার উচ্চতা ১৬ অস্কুল অর্থাৎ কিঞ্চিনুন এক হস্ত। ইহার মধ্যভাগ স্থল, কিন্তু অগ্রভাগ অতি তীক্ষ। পূৰ্ব্বে মহেন্দ্র এই অস্ত্র এবং এতদ্বিধ মুদ্রিক নামক অস্ত্র মনুকে শিখাইয়াছিলেন। পরে তাহা এই মানবলোকে আসিয়াছে। যে রাজার এই অস্ত্রদ্ধয় থাকে, ইহলোকে তাহার প্রভুত্ব বিস্তার হয় । ইহার ক্রিয়া এইরূপ— “মুষ্টিগ্রহঃ পরিঙ্গেপঃ পরিধিঃ পরিকুন্তনম্। চত্বার্য্যেতানি গোশীর্ষে বলগিতানি প্রচক্ষতে।” মুষ্টিগ্রহ অর্থাৎ মুট ধরা, পরে পরিক্ষেপ, পরিধি ও পরিকুস্তন বা পরিকৃন্তন । কুন্তন পক্ষে বিদ্ধকরণ, ও কুস্তন পক্ষে ছেদন করা, এইরূপ অর্থ হয়। অসিধেমু বা খড়গপুত্রিকা—ইহার আকার প্রকার ও ক্রিয় এইরূপ— “অসিধেনুঃ সমাখ্যাত। হস্তোন্নত্যপ্রমাণতঃ । অতলত্রৎসরুযুতা শু্যাম কোটিক্রয়াশ্রিত ॥ অঙ্গুলিদ্বয়বিস্তীর্ণ হাসয়রিপুঘাতিনী। মেখলাগ্রথিনো সা তু প্রোচ্যতে খড়গপুত্রিকা । মুষ্ঠ্যগ্রগ্রহণং চৈব পাটনং কুন্তনং তথা । বলগিতাত্রয়বত্যেষ সদা ধাৰ্য্য৷ নৃপোত্তমৈঃ ॥” অর্থাৎ অসিধেনু নামক অস্ত্রটি হস্তপ্রমাণ লম্বা, তলত্ররহিত কিন্তু ৎসরু অর্থাৎ মুট্ আছে। বর্ণ শুাম। ত্ৰিধার ও বিস্তীর্ণতায় দুই অঙ্গুল । ইহার দ্বারা আসন্ন অর্থাৎ নিকটাগত শক্র বিনষ্ট করা যায় । এই অসিধেনু যদি মেখলায় প্রথিত ( মেখলা = চেইন ) থাকে, তাহা হইলে তাহাকে খড়গপুত্র বলা যায়। এই দুই অস্ত্রের ক্রিয় ত্রিবিধ। মুষ্টিগ্রহণ, বিদারণ ও বিদ্ধকরণ। প্রধান প্রধান রাজার ইহা ধারণ করিয়া থাকেন। - লখিত্র—এই অস্ত্রটির আকার প্রকার ও ক্রিয় এইরূপ— “লখিত্ৰং ভূগ্নকায়ং স্থাৎ পৃষ্ঠে গুরু পুরঃশিতম্। প্তামং পঞ্চাঙ্গুলিব্যাসং সাদ্ধহস্তসমুন্নতম্ ॥ ৎসরুশ গুরুণা নদ্ধং মহিষাদি-নিকৰ্ত্তনম্। . বাহদ্বয়োজমোৎক্ষেপোলধিত্রে বলগিতে মতে ” - লখিত্রের কায়াটি ভূগ্ন অর্থাৎ বক্র ( কোলকুঁজে )। পৃষ্ঠভাগ স্থল ও গুরুভর
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।