8 * বুদ্ধদেব । করিল, ক্রীড়াসক্ত হইয়া কুমারের সঙ্গ পরিত্যাগ করিল ; এই অবকাশে ভগবান, বোধিসত্ত্ব সেই উদ্যান হইতে বহিস্ক্রাস্ত হইয়া তন্নিকটস্থ কোন এক রমণীয় প্রদেশে একাকী ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। দেখিতে পাইলেন, অদূরে একটা রমণীয় জম্ব,বৃক্ষ ছায়াবিস্তার করতঃ বিরাজিত আছে। দেখিয়া প্রত হইলেন এবং ধীরে ধীরে তাহার তলদেশে গিয়া উপবিষ্ট হইলেন । ধ্যানোপযুক্ত রমণীয় প্রদেশ দেখিয়া তাহার ধ্যানেচ্ছা হইল ! প্রথমে তিনি চিত্তকে একাগ্র করিলেন । চিত্তের কামনা ও অন্তান্ত অকুশলবুত্তি সকল নিরুত্থান করিয়া সবতর্ক ও সবিচার ধান অবলম্বন পূৰ্ব্বক প্রথমতঃ প্রতিস্লখ নামক ধান-সুখ অনুভব করিতে লাগিলেন । সবিতর্ক ও সবিচার ধ্যানের দ্বীরা আত্ম প্রসাদ আগত হইলে তাহার চিন্তু তখন এক অখণ্ডাকার বৃত্তি ধারণ করিল। তখন তিনি নিৰ্ব্বিতৰ্ক-নিৰ্ব্বিচার নামক দ্বিতীয় ধ্যানে নিমগ্ন হইলেন, হইয়া অনিৰ্ব্বচনীয় প্রতিমুখ প্রাপ্ত হইলেন । অল্পক্ষণ মাত্র প্রীতিমুখ অনুভব করিয়া তদুদ্ধ বৰ্ত্তী তৃতীয় ধ্যান আচরণ করলেন। তৃতীয়ধ্যানে প্রীতিমুখেও উপেক্ষ হয়, যাবজ্জীবনের ও যাবজ্জন্মের দৃষ্ট, শ্রুত ও অনুমিত পদার্থরাশির স্মরণ হয় এবং প্রতিসম্বেদন নামক প্রজ্ঞ বিশেষের উদয় হয় । লোকে যাহাকে নিৰ্ম্মল প্রজ্ঞ অথবা অপ্রতিহত জ্ঞান বলে,যে জ্ঞান আবিভূত হইলে, জগন্দ্রয় করামলকবৎ প্রতিভাত হয়, সেই জ্ঞানের অন্ত নাম প্রতিসম্বেদন ও সম্প্রজ্ঞা । অনস্তর তিনি এতদূৰ্দ্ধবৰ্ত্তী নিৰ্ম্মল চতুর্থ ধ্যান আহরণ করিলেন । চতুর্থ ধ্যানে মুখে নাশ, দুঃখের অস্ত, সৌমনস্তের ও দৌৰ্ম্মনস্তের অভাব, সুখ-দুঃখের উপেক্ষ, স্মরণশক্তির পরিশুদ্ধি ও শীৰ্বাদির অদর্শন হয়। কুমার শাক্যসিংহ এখন সেই জম্ব বৃক্ষমূলে উপবিষ্ট হইয় এতাদৃশ চতুর্থ ধ্যানে নিমগ্ন হইলেন । বুদ্ধদেব জম্ব মূলে চতুর্থ ধ্যানে নিমগ্ন আছেন, এমন সময়ে পাঁচ জন মহানুভব খৰি দক্ষিণ দিক হইতে আকাশপথে সেই জম্ব বনের উপর দিয়া উত্তর দিকে যাইতেছিলেন । যেই মাত্র তাহারা জম্ব বনের উপরে আসিয়াছেন, অমনি তাহার শক্তিহীন, ক্ষমতাহীন ও প্রত্যাহত হইলেন । আর যাইতে পারিলেন না । র্তাহার আশ্চর্য হইয়া ভয়ে ও বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া নিম্নলিখিত গাখায় বলবিলি করিতে লাগিলেন – “ষয়মিহ মণিবন্ত্ৰকূটং গিরিং মেক্কমত্যুদাতং তিৰ্য্যগৰ্থং বিস্তারিকম্।
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।