তৃতীয় পরিচ্ছেদ । t? নিম্নলিখিত বাক্য শুনাইল –“যে কুমার আজ এই সভায় অসি, ধনুৰ্ব্বাণ, যুদ্ধ ও অন্যান্ত কৰ্ম্মশিল্প দেখাইয়া জয়লাভ করিতে পারিবে, দণ্ডপাণিশাক্য, স্বীয় গোপ নামী কস্তাকে সেই কুমারের সহধৰ্ম্মিণী করিবেন। অনস্তর কুমারগণ আপন আপন বল, বীৰ্য্য ও শিক্ষা প্রভৃতি দেখাইতে প্রবৃত্ত হইল। প্রথমে দেবদত্ত, পরে সুন্দরনন্দন, তৎপরে কুমার বোধিসত্ত্ব শিল্পপ্রদর্শন গৃহে প্রবিষ্ট হইলেন। দেবদত্ত আগমন কালে নগরদ্বারাবস্থিত এক মত্ত হস্তীকে চপেট প্রহারে বধ করিয়াছিলেন । * তৎপরে সুন্দরননা তাহাকে দ্বারদেশ হইতে স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন । অনস্তর বোধিসত্ত্ব তাহাকে পদাঙ্গুলির দ্বারা নগরবহির্ভাগে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন । এষ্টরূপে কুমার বোধিসত্ত্ব সৰ্ব্বপ্রথমে বল-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া যশোভাজন হইয়াছিলেন । সভাপ্রবেশের পর সৰ্ব্বপ্রথমে লিপিশিল্পের ও লিপিজ্ঞানের আলোচনা হইল । কুমার ৰোধিসত্ত্ব তাহাতেও শ্রেষ্ঠ হইলেন । শাক্য কুমারগণের গুরু বিশ্বামিত্র মধ্যস্থ ছিলেন, তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, মনুষ্যলোকে ও অন্তান্তলোকে যে কোন লিপি আছে,–কুমার বোধিসত্ত্ব সে সমস্তই বিদিত আছেন। কুমার বোধিসত্ত্ব যাহ বিদিত আছেন—আমরা তাহার নাম ও জানি না । কুমার লিপিজ্ঞানে জয়লাভ করিলে সংখ্যাশিল্পের আলোচনা আরম্ভ হইল । ইহাতেও তিনি জয়লাভ করিলেন। অর্জুন-নামক গণক সংথ্যাজ্ঞান বিচারের সাক্ষী ছিলেন, তিনি গাথা ভাষা অবলম্বন পূৰ্ব্বক উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিলেন, এই জ্ঞানসাগর কুমার গণনাপথে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । অনন্তর যুদ্ধশিল্পের প্রস্তাব হইল। নন্দ, আনন্দ, সুন্দরনন্দ ও দেবদত্ত প্রভৃতি শাক্য কুমারগণ একে একে কুমার বোধিসত্ত্বের সহিত যুদ্ধ করিলেন, পরস্তু সকলেই পরাজিত হইলেন । সকলে একত্রিত হইয়। যুদ্ধ করিলেন, তাহাতেও তাহারা জয় লাভ করিতে পারিলেন না। পরে বাণক্ষেপ পরীক্ষা আরব্ধ হইল। কুমার বোধিসত্ত্ব তাহাতেও জয়লাভ করিলেন । পরে ধনুঃপরীক্ষা আরম্ভ হইল। শত শত কঠোর ধনু আনীত হইল, কুমার বোধিসত্ত্ব সে সমস্তই করায়ত্ত করতঃ গুণযুক্ত করিয়া দিলেন । এই কাৰ্য্য অন্য কেহ পারে নাই । এই অবসরে কুমার উচ্চৈঃস্বরে সভাস্থ জনগণকে জিজ্ঞাস করি
- এই হস্তী যে স্থানে পতিত হইয়াছিল, সেই স্থানে গৰ্ত্ত হইয়াছিল। অঙ্গ্যাপি তাহ হস্তি গৰ্ত্ত নামে বিখ্যাত আছে ।
总凉