তৃতীয় পরিচ্ছেদ । (&) অবলম্বন করিয়া কুমারের বিবাহ হইল, তাহ কোনও গ্রন্থে সবিশেষ লিখিত হয় নাই । ইহাতে অনুমান হয়, তদানীন্তন কালের ক্ষা ত্রবিধান অনুসারেই কুমারের বিবাহ কাৰ্য সম্পন্ন হইয়াছিল । ললিতবিস্তর গ্রন্থে লিখিত আছে, কুমার শাক্যসিংহের সহস্ৰ স্ত্রী ছিল । তন্মধ্যে গোপাই শাক্যসিংহের প্রধান মহিষী ছিলেন । শাক্যসিংহের অনেক ভাৰ্য্যা ছিল, এ কথা সাধারণ লোকের অজ্ঞাত আছে । চতুর্থ পরিচ্ছেদ । শাক্যসিংহের প্রতি পূৰ্ব্ব বুদ্ধগণের অথবা দেবগণের সঞ্চোদনী— শুদ্ধোদনের স্বপ্নদর্শন-শাক্যসিংহের উদ্যানযাত্র ও বৈরাগ্যকারণ। মহাত্মা শাক্যসিংহ দারপরিগ্রহপূর্বক কিয়ংকাল পরমহুখে অন্তঃপুরবাস করিলেন। বাল্যকাল হইতেই তাহার মনে বৈরাগ্য-বীজ অঙ্কুরিত হইয়া আসিতেছিল, ক্রমে তাঁহা এখন পরিপুষ্ট হইল । বৌদ্ধ-যতিগণ বলিয়া থাকেন, এবং তঁহাদের গ্রন্থেও লিখিত আছে, দেবগণ বোধিসত্ত্বের দীর্ঘকাল অন্তঃপুরবাস সন্দর্শন করিয়া ভীত, ত্রস্ত ও দুঃখিত হইয়াছিলেন । পরে তাহার এইরূপ পরামর্শ স্থির করিয়াছিলেন যে, “সঙ্গীতিতুর্য্যনিনাদৈরেবৈভিরেবংরূপৈধৰ্ম্মমুচ্চৈঃ সঞ্চোদয়িতব্যাঃ ।” অর্থাৎ অন্তঃপুর মধ্যগত ভগবান বোধিসত্ত্বকে তুর্য্যনিনাদ উপলক্ষে ধৰ্ম্মবিষয়ে সঞ্চোদিত করা আবশুক । একদা তিনি অন্তঃপুরমধ্যে রমণীজনের বেণুবীণাদি-ধ্বনিসমন্বিত সংগীত শ্রবণ করিতেছেন, এমন সময়ে এক মহদীশ্চর্য ঘটনা হইল। জনৈক মুনারী বেণুনিনাদ করিতেছিলেন, তাহার সেই বেণুনিনাদ হইতে সহসা বৈরাগ্যোদীপক গাথা নির্গত হইল। রমণী তাহ জানিলেন না, কেবল রাজপুত্র তাহ গুনিলেন। রমণী আপন মনে বংশীনিশ্বনে গান করিতেছেন, কিন্তু শাক্যসিংহ তাহার অন্যথা শুনিতেছেন। তিনি শুনিতেছেন, বঁাশী তাছাকে সঙ্গোধন করতঃ কচিতেছে,—
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।