ৰুদ্ধদেব | সম্ভবমণ্ডচিশ্ৰবন্ধিত্যমনিত্যম।” শরীর মাত্রেই অগুচি পদার্থে উদ্ভূত, অশুচিপদার্থে লিপ্ত ও পরিপূর্ণ এবং সৰ্ব্বদাই ইহা হইতে অশুচি-নিম্রাব হইতেছে। শরীর অতি বৃশ্য ! এই সময়ে আকাশ প্রদেশে নিম্নলিখিত গাথা গীত হইতে লাগিল – “কৰ্ম্মক্ষেত্রর হং তৃষ্ণ সলিলজং সৎকায়সংকীকৃতং অশ্রু খেদক দাহ মূত্র বিকৃতং শোণিতবিম্বাকুলং বস্তি পুত্র বসাহু মস্তক রসৈঃ পূর্ণং তথা কিন্ধিৰৈঃ নিত্য প্রশ্রথিতং হমেধ্যসংকুলং দুর্গন্ধি নানাবিধং অন্থী দন্তু সকেশরোমধিকৃতং চৰ্ম্মাবৃতং লোমশং অন্ত:প্লীহ যকৃৎ বদেখ রূপনৈ রেভিশ্চিতং দুৰ্ব্বলম্ব মজ্জা স্নায়ু নিবন্ধ যন্ত্রসদৃশং মাংসেন শোভীকৃতং নানাবাধিপ্রকীর্ণ শোককলিলং ক্ষুত্তৰ্যসম্পীড়িতং জন্তুনাং নিরয়ং অনেকম্বুধিরং মৃত্যুজরাঞ্চাশ্চিতং দৃশ কোছি বিচক্ষণে রিপুনিভং মস্তে শরীরং স্বকং ?” এটা কি ? শরীরটা কি ? ইহা তৃষ্ণারূপ সলিলের সেচন কৰ্ম্মরূপক্ষেত্রে উৎপন্ন —“সৎ” এতদ্রুপ সংজ্ঞায় সংজ্ঞিত। ইচা কেবল অএ স্বেদ মুত্র ও পুরীষপ্রভৃতিবিকারে বিরুত, প্রপুরিত, শোণিত বিন্দুতে আচিত, বসা অস্থক ও মস্তকরসে পরিপূর্ণ, পাপপরিপূর্ণ, সৰ্ব্বদা অবমাণ, অমেধ্যব্যাপ্ত, দুৰ্গন্ধময়, অস্তি দন্ত কেশ ও রোম প্রভৃতিতে আচিত, চৰ্ম্মে আবৃত এবং ইহার উপরে লোম, ইহার মধ্যভাগ কোমল প্লীহা যকৃৎ রস রক্ত ও মল প্রভৃতি কুৎসিত পদার্থে পরিপূর্ণ, ইহা নিতান্ত কুৰ্ব্বল, এবং মজ্জা স্নায়ু ও পেশী প্রভৃতিতে গ্রথিত বা আবদ্ধ, যন্ত্রাকার মাংসের স্বারা শোভিত বা সজ্জিত, নানাপ্রকার ব্যাধি ও শোক প্রভৃতিতে আবিল,— ক্ষুধাতৃষ্ণায় প্রপীড়িত, কীটসমূহের অtলয়, নরকের আধার, বহুছিদ্র, মৃত্যু ও জরার আবাসস্থান। এবংবিধ শরীর শক্ৰ তুল্য মহাপকারী । ইহার প্রকৃত তথ্য জানিয়া শুনিয়া, বুঝতে পারিয়া, কোন বুদ্ধিমান ইহাকে আপনার বস্তু মনে করিতে পারে ? কে ইহাতে মামিত্ব বন্ধন কfরয় স্থির থাকিতে বা নিশ্চিন্ত থাকিতে পারে ? ইহাতে মামিত্ববোধ না থাকাই শ্রেয়স্কর । পুরনির্মাণ ও ছন্দক-সংবাদ । অৰ্দ্ধরাত্র অতীত, পুরবাসিগণ মায়ানিদ্রায় অভিভূত, শাক্যসিংহ ভাবিলেন, অয়মেৰ সময়ঃ—এই আমার উত্তম সময়, এ-ই আমার পুরনিক্রমণের উত্তম জবসর। অনস্তর তিনি মনে মনে সন্ন্যাস সংকল্প করিয়া শষ্যস্তৃত পর্যাঙ্ক হইতে
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।