է, եր বুদ্ধদেব । নিকট ব্রহ্মচৰ্য্য করিব, সৰ্ব্বোত্তর ধৰ্ম্মের অনুসন্ধান করিব। এইরূপ চিন্তার পর তিনি বৈশালী পরিত্যাগ করিয়া মগধে আগমন করিলেন । তখন মগধের রাজধানী বা প্রধান নগর রাজগৃহ। রাজার নাম, বিম্বিসার । নগরের প্রান্তসীমায় পাণ্ডবশৈল । * একক অসহায় সৰ্ব্বত্যাগী শাক্যসিংহ নির্জনবাস মনোনীত করিয়া এই পাওবশৈলের পার্শ্বপ্রদেশের আশ্রয় লইলেন। একদ। তিনি ভিক্ষার্থ রাজগৃহ মহানগরে প্রবেশ করিলে, নগর-বাসী জনগণ তাহার অদ্ভুতমূৰ্ত্তি দেখিয়া মুগ্ধপ্রায় হইল । এই অপরূপ রূপ অদ্ভুত সন্ন্যাসী যাহার যাহার নেত্রপথে পতিত হইলেন, তাহার। আর নয়ন ফিরাইয়ু অন্তদিকে নিক্ষেপ করিতে সমর্থ হইল না । সকলেই একদৃষ্টে সেই মোহনীয় সন্ন্যাসমূৰ্ত্তি দেধিতে লাগিল । গৃহীর গৃহ কাৰ্য্য গেল, পথিকের গন্তব্যস্থানে যাওয়া হইল না, বণিকের ক্রয় বিক্রয় বদ্ধ হইল, নারীগণ চিত্রাপি গুরূপিণী হইল । কেহ মনে করিল— দেবরাজ ইন্দ্র আগমন করিয়াছেন ; অন্তে মনে করিল—দেবপুত্ৰ ; অপরে মনে করিল—বৈশ্রবণ ; কেহ কেহ পিবেচনা করিল,~~পধ্বতরাজ বিন্ধ্যের অধিষ্ঠা গ্রী দেবতা পদচারে ভ্রমণ করিতেছেন। রাজা বিম্বিসার শুনিলেন, নগরে এক অপরূপরূপ ভিক্ষু আগমন করিয়াছে। অত্যুচ্চ প্রাসাদ তল হইতে ভিক্ষুকের তদৃশ জলন্ত মূৰ্ত্তি দেখিয়া রাজার নয়ন মন মুগ্ধ হইল। তিনি ভিক্ষুককে ভিক্ষাদান করিলেন, এবং পাশ্বস্তু রক্ষী পুরুষকে জনাস্তিকে বলিয়া দিলেন, দেখ, এই পুরুষ কোথায় যায় । অনস্তর লব্ধভিক্ষ শাক্যসিংহ পাণ্ডবশৈলাভিমুখে গমন করিলে বিন্ত্রিসারের প্রেরিত পুরুষ অলক্ষ্যে তাছার পশ্চাদগামী হইল। কিয়ৎক্ষণ পরে সে প্রত্যাবৰ্ত্তি ত হইয়া সংবাদ দিল, "ভিক্ষুক পাণ্ডবশৈলে বাস করে ।” পরদিন গ্রাতে রাজা বিম্বিসার পরিজন বর্গের সহিত পাণ্ড শৈল গমন করিলেন । দেখিলেন, দেবরূপী বোধিসত্ত্ব গুহাসমীপে স্বস্তি ক{সনে উপবিষ্ট আছেন। রাজা ভক্তিসহকারে ‘অঙ্গ-নমন পূৰ্ব্ব ক' হার চরণ বন্দনা করিলেন, পরে বিবিধ কথা উত্থাপন করিলেন । কথাস্তে প্রস্ত{ল করিলেন, আপনি আমার এই রাজ্যগ্রহণ করুন, করিয়া এই স্থানেই মুখে কালতিপাত করুন ।
- রাজগৃহ এক্ষণে রাজগির নামে খ্যাত। এখানে তদাপি প্রাচীন মহানগরের বিবিধ ংসচিহ্ন বিদ্যমান আছে । রাজগির পাছাড়ের দক্ষিণ পশ্চিমদিকে ষে রত্নগির নামক পাহাড় আছে, যুদ্ধের সময়ে সেই পাহাড় পাণ্ডবশৈল নামে গরি চত ছিল ।