ধগুৰ্ব্বেদ। ና®: তাৎপৰ্য্য এক্ষণে বুঝা যায় না । ফল, প্রত্যেক অস্ত্রের ২৩ বা ততোধিক নাম আছে, ইহা জানা আবশুক। নচেৎ নানা স্থানে নানা নাম দেখিয়া তাঙ্গদের প্রত্যেককে স্বতন্ত্র অস্ত্র বলিয়া ভ্রম হইবে । ধনুৰ্ব্বেদ । ধনুর্বিদ্যা-বোধক শাস্ত্রের নাম ধনুৰ্ব্বেদ, এক্ষণে ইহা সৰ্ব্বভক্ষক কালের করলে জঠরে ভক্ষ্মীভূত হইয়াছে । আমরা মনে করি, ভাল, কোল, সাওতালের যেমন তার ধনুক লইয়া এলো-থেলে যুদ্ধ করে—আমাদের পূর্বপুরুষেরাও তেমনি পূৰ্ব্বে তীর ধনুক লইয়া এলো থেলো যুদ্ধ করিতেন—তাহাতে কোন বিদ্যা-সংযোগছিল না—পরন্তু নিপুণতার সহিত পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে সপ্রমাণ হইবে “যে, উহাতে বিলক্ষণ বিদ্যা-সংযোগ ছিল ।” এই বিদ্যা অতি আদিমকালে রখনাগাশ্বপত্তীণা’ ষোধাং শ্চাশ্রিত্য কীৰ্ত্তিতম রথারোহী, হস্তারোহী, অশ্বারোহী ও পদাতি যোদ্ধাদিগকে অবলম্বন করিয়া রচিত হইয়াছিল । তৎকালে রাজা, রাজপুত্র এবং অন্তান্ত বীরপুরুষেরা বহুকাল-সাধ্য ব্রহ্মচৰ্য্য-ব্রতে অবস্থিত থাকিয়া গুরুর নিকট এই বিদ্যার উপদেশ গ্রহণ করিতেন । স্থানে স্থানে এই বিদ্যার রীতিমত মঠ ছিল । নানাস্থানসমাগত ছাত্রের তথায় থাকিয়া রীতিমত অধ্যয়নও করিত। মধ্যে মধ্যে পরীক্ষাও গৃহীত হইত। শিক্ষা সমাপ্ত হইলে গুরু রাজাদিগের ব্যয়ে ‘রঙ্গবাট” নিৰ্ম্মাণ করাইয়া শুভ দিনে রাজা, রাজপুত্র ও মান্ত গণ্য পণ্ডিতদিগকে আহ্বান করিতেন। সভা দৰ্শকবৃন্দে পরিপূর্ণ হইলে কুমারগণ ও আল্লান্ত ছাত্রগণ তাহাদের সমক্ষে যথাসাধ্য শিক্ষিত বিদ্যার অভিনয় প্রদর্শন করিতেন । মহাভারতস্থ কুরু-গুরু দ্রোণাচাৰ্য্য ও কুরু-বালকগণের ইতিবৃত্ত পাঠ করিলেই ইহা সপ্রমাণ হইবে। পূৰ্ব্বে ক্ষত্রিয়গণ ষে বিদ্যার বলে মাত্র ধনুকের সাহায্যে শত শত সহস্ৰ সহস্ৰ বীর মানবের সহিত যুদ্ধ করিতে সমর্থ হইতেন—সে বিদ্যা কি তুচ্ছ ? না মিথ্যা ? সে ধমুক-কি সাঁওতালদিগের ধন্থক ? না তাহাতে অন্ত কিছু রহস্ত আছে ? ভাবিতে গেলে মস্তিষ্ক বিকল হয়, বুদ্ধিমোহ উপস্থিত হয়, মস্তক অন্ধকারে পূর্ণ হইয়া যায়। এখন আর সে ব্যাস নাই, সে বৈশম্পায়ন নাই, সে রাম নাই, সে পরশুরাম নাই, সে বিশ্বামিত্র নাই,"দ্রোণ নাই,"অশ্বথাম নাই, ৰূপ নাই, অর্জুনও । নাই, কেহই নাই। তৰে আর আমাদিগকে কে উহা বুঝাইয়া নিরে? ব্রহ্মার
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।