১১৬ বুদ্ধদেব । ম্পর্শের কারণ কি ? কি থাকাতে ঐক্কপ স্পর্শ হইতেছে ? তাহাও তিনি সেই সমাধিবলে জানিয়াছিলেন । তিনি দেখিতে পাইলেন, “ষড়ায়তনে সতি ম্পর্শে ভবত্তি ষড়ায়তনপ্রত্যয়ে হি পুনঃ স্পর্শঃ ” অর্থাৎ ষড়ায়তন আছে বলিয়াই ভদেকদেশে স্পর্শ আছে ; সুতরাং ষড়ায়তনই স্পর্শের ছেত্যু। ( ষড়ায়তন = নামরূপসম্মিশ্রিত ইন্দ্ৰিয় । অর্থাৎ শরীরাকারে পরিণত ভৌতিক কায়ার অন্তর্গত ইঞ্জিয় )। - কি থাকতে ষড়tয়তন জন্মিয়াছে ও জন্মিতেছে ? ষড়য়তনের বীজ কি ? তাহার সমাধি প্রজ্ঞ এ প্রশ্নেরও প্রত্যুত্তর প্রদান করিল । তিনি দিব্য জ্ঞানে দেখিতে পাইলেন, “নাম নামরূপে সতি বস্তুtয়তনং নামরূপং প্রত্যয়ং হি ষড়ায়তনম্।” নামৰূপ থাকাতেই ষড়ায়তনের উৎপত্তি হয় । ( নামরূপ= স্বক্ষ বা পরমাণু নামক ক্ষিতি জল বায়ু ও তেজ ! এই সকলই রূপ ও বস্তু-আকারে পরিণত ङ्ञ ) । অবশেষে দেখিলেন, প্রোক্ত নমরূপের মূল কারণ বিজ্ঞান। একমাত্র বিজ্ঞানই নামরূপ নির্বাহ করিতেছে ! ( অর্থাৎ বাহবন্তু সকলের উৎপাদক পৃথক নহে, সভ্যও নহে, এক বিজ্ঞানই বিবিধ আকারে প্রকাশ পাইতেছে ) বিজ্ঞানের মূল সংস্কার বা ( পুৰ্ব্বপুৰ্ব্বক্ষণবিনাশী বাসনা । বাসন = বিজ্ঞানের বিনাশ সহ তত্ত্বদ্বিজ্ঞানের অনুবৃত্তাকার সংস্কার ) । এবপ্রণিধানের চরম প্রাস্তে গিয়া দেখিলেন, সৰ্ব্ব মূল বিজ্ঞান-বাসনার অদ্বিতীয় কারণ অবিদ্যা । ‘অবিদ্যায়াং সত্যাং সংস্কার ভবস্তি অবিদ্যা প্রত্যয় ছি ংস্করাঃ ” ইহার অর্থ এই যে, অবিদ্যা থাকাতেই জীবের ক্ষণে ক্ষণে প্রোক্তলক্ষণ সংস্কার প্রবাহাকারে জন্মিতেছে এবং সেই জগুই পুনঃপুনঃ বিষয়-উপলক্ষে রাগ দ্বেষ মোহ প্রভৃতি হইতেছে। অবিদ্যা = অহং ও মম। জীবের অহং মমই যাবৎ জনর্থের মূল, সংস্কারবীজ ও যাবৎ বিজ্ঞানের আধার । অবিদ্যাকে নষ্ট করিতে পারিলে, অহংকার মম-কার নিরুদ্ধ করিতে পারলে, এই অনর্থ সংসার হইতে পরিত্রাণ পাওয়া যায় । আমিত্বের নিরোধ হইলেই জীবত্ব নিৰ্ব্বাপিত হয় কিন্তু আমিত্ব-বিনাশ নিরোধ ব্যতীত श्रछ खे°icम्न श्ब्र ना । יא রাজির শেষ ধামে মহাযোগী শাক্যসিংহ ঐক্ষপে প্রতিবুদ্ধ হইলেন । তাছার বুদ্ধিসত্ত্ব ভাস্বর হইল । শুিনি স্পষ্ট দেখিতে পাইলেন,—
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।