১২৯ বুদ্ধদেব । ষষ্ঠ সপ্তাহ আগত হইলে তিনি বুদ্ধজ্ঞানে দেখিতে পাইলেন, লোক সকল श्ाननिस्ठ श्, खव्रl, दriथिं, শোক, পরিদেবনা, দৌৰ্ম্মনস্য ও মরণাদি বিবিধ ক্লেশে দগ্ধ হইতেছে, কিন্তু কেহই পরিত্রাণের উপায় জানিতেছে না । এই সময় তাহার মুখ হইত্বে নিম্নলিখিত মহাৰাক্যটা নির্গত হইয়াছিল— "অয়ং লোকঃ সপ্তাপজাত: শৰদম্পর্শ রসরাপ সৰ্ব্বগন্ধৈঃ । ভবর্তীতে স্তৰং ভূয়ে মার্গতে ভবভূঞ্চয় ॥" এই সকল লোক নিরস্তর শব্দ, স্পর্শ, রস, রূপ ও গন্ধের দ্বার সস্তুপ্ত হইতেছে। একদিকে ইহার সংসারভয়ে অত্যন্ত ভীত, অন্তদিকে আবার সংসারতৃষ্ণায় ব্যাকুল (অর্থাৎ ইহারা সংসারকে ভয়ও করে, আবার ভালও বলে ) । ইহার সংসার ভয়ে ভীত হইলেও সংসার-তৃ gায় আ ক্রান্ত হইয় পুনঃ পুনঃ ভিন্ন ভিন্ন সংসার কামনা করিতেছে-অন্বেষণ করিতেছে । যষ্ঠ সপ্তfছ ঐন্ধপ চিন্তায় অতিবাহিত হইল। অনন্তর সপ্তম সপ্তাহ আগত হইলে তিনি নৈরঞ্জনাতীরস্থ তারায়ণ-বনে গমন করিলেন। ভগবান যখন তারায়ণ-বৃক্ষ-তলে বাস করেন, তখন দক্ষিণাত্য দেশ হইতে ‘ত্রপুষ’ ও ‘ভল্লিক” নামধের দুইজন বণিক সেই বন দিয়া উত্তর দেশে যাইতেছিল। বণিকৃদ্ধ পণ্ডিত ও কার্য্যদক্ষ । ইহার উত্তরদেশবাসী, দক্ষিণদেশে বাণিজ্য করিতে গিয়াছিল, এক্ষণে তাছার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিতেছে । সঙ্গে রথ, শকট, পদাতি সৈন্য ও অশ্বারোহী অনেক আছে । তাহদের প্রচুর সম্পত্তি শকটের দ্বারা বাহিত ছুইতেছে । তাহারা তারায়ণ-সমীপে আসিলে সহসা তাহাদের শকটবাই বলীবর্গের গতি অবরুদ্ধ হইল । শকটচক্র মৃত্তিক মধ্যে নিমগ্ন হইল ও বরত্রান্ধি ছিন্ন ভিন্ন হইয় গেল। এ সকল ঘটনা কেন হইল, তাহ কেহই বুঝিতে পারিল না। বণিকেরা ভয়ভীত ও বিস্থিত হইয় পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিল ও ভাবিতে লাগিল, ইহার কারণ কি! আমাদের উৎকৃষ্ট বলীবর্দদ্বয় যখন শকট বহনে অক্ষম হইল, দৃঢ়োত্তম শকট যখন ভূমিমগ্ন হইল, তখন, নিশ্চিত কোন অমঙ্গল নিকটাগত অর্থব অগ্রপথে কোন মহাভয় বিদ্যমান আছে, সন্দেহ নাই। মনস্তর তাহার অগ্রপথ অনুসন্ধানার্থ অশ্বারোহী দূত প্রেরণ করিল। তাহারা কিয়দর পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া প্রত্যাগত হইলে, বণিকৃগণ জিজ্ঞাস করিল, কি দেখিলে ? অগ্রপথে কি কোন মহাভয় উপস্থিত মাছে ? দূতগণ প্রত্যুত্তর করিল, প্রভো ! ভঞ্জ পাইবেন না । দেখিলাম, অগ্রপথে এক অগ্নি কল্প মঙ্গাপুরুষ উপবিষ্ট আছেন।
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।