নবম পরিচ্ছেদ । *S*t জন শিষ্য বা সহচর ছিল, সেই শিয্য বা সহচর পাঁচ জন তাহার নবধৰ্ম্ম উপদেশের ধোগ্যপাত্র । বুদ্ধদেব এবারও ভাবিলেন, তাহারা সকলেই স্থবিজ্ঞ, অপরোক্ষ জ্ঞানী, ব্ৰহ্মচারী ও মোক্ষান্বেষী। • তাহারা যদি আমার নবধৰ্ম্ম গুনেন-ত বিস্মিত হুইবেন না । গ্রহণ ও ধারণ করবেন, অবহেলা করিবেন না ।" র্তাহার এখন কোথায় ? প্রণিধান বলে জানিতে পারিলেন, তাহার বারাণসীর ঋষিপত্তন মৃগদায়ে ( এই স্থান এক্ষণে শারনাথ নামে পরিচিত ) বাস করিতেছেন। এতক্ষণ পরে বুদ্ধের চিত্তে উৎসাহ আসিল, বিলম্বে অনিচ্ছা হইল। তিনি আর বিলম্ব করিলেন না, সেই মুহূৰ্ত্তেই তিনি বোধিমূল পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক কাশীর উদ্দেশে উত্তর মুখে যাত্রা করিলেন। কাশী যাইব, কাশী গিয়া শিষ্য পঞ্চককে নবধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিব, এই ভাব তাহার হৃদয়ে সবেগে উদ্দীপিত হইল । বোধিবৃক্ষের উত্তরে গয়া ও দক্ষিণে বোধিক্রম। বোধিবৃক্ষ ও গয়া,মধ্যে দুই ক্রোশ পথ। ইহার মধ্যপথে আজীবক নামে জনৈক পণ্ডিত ব্রাহ্মণ ৰাস করতেন। বুদ্ধদেব উত্তরাভিমুখে এক ক্রোশ পথ অতিক্রম করিয়া আজীবকের আশ্রমের নিকটস্থ হইলে, আজীবক দূর হইতে তাহাকে দেখিতে পাইলেন। আজীবক বুদ্ধের মুখশ্ৰী, শরীরের কাস্তি ও চক্ষুর অনিৰ্ব্বচনীয় ভাব সন্দর্শনে মুগ্ধ ও বিম্মিত হইয়াছিলেন, এক্ষণে তিনি নিকটে পাইয়া কিয়ৎক্ষণ বিশ্রামের জন্ত অনুরোধ করিলেন। বুদ্ধদেবও আজীবকের অনুরোধ রক্ষা করিলেন। সাননাসম্ভাষণ সমাপ্ত হইলে আজীবক বুদ্ধদেবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আয়ুষ্মন ! গৌতম ! তোমার ইন্দ্রিয়, গাত্রবর্ণ ও মুখকাস্তি অত্যন্ত নিৰ্ম্মল দেখিতেছি । ஆன் আমি জিজ্ঞাসা করি, তুমি কাছার শিষ্য ? কাহার নিকট এরূপ আশ্চৰ্য্য ব্ৰহ্মচর্য্য শিক্ষা করিয়াছ ? * বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন একোংহমৰ্ম্মিং সমৃদ্ধ গীতিভূতোনিরাশ্রযঃ । আমি একক, সমৃদ্ধ হইয়াছি, আশ্রবক্ষয় করিয়াছি, মলপরিশূন্ত হইয়াছি সুতরাং ठञ्च झहेंब्राहि । জাষ্ট্ৰীবক পুনঃ প্রশ্ন করিলেন, “অর্জন থলু গৌতম স্বাস্থানং প্রতিজনীিয়ে ?” তুমি কি আপনাকে অৰ্হং বলিয়া জানিয়াছি?
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।