> *w বুদ্ধদেব । পরে সেই শিষ্যপঞ্চক জিজ্ঞাসা করিলেন,-আয়ুষ্মন, গৌতম ! তোমার ইঞ্জিয়, বর্ণ, কান্তি ও ছাতি নিতান্ত প্রসন্ন দেখিতেছি । তুমি কি মনুষ্যধর্শ্বের অতীত जाननंन সাক্ষাৎকার করিয়াছ ? • বুদ্ধদেব বলিলেন, হে আয়ুষ্মদগণ ! তোমরা আমাকে বাদ কথায় প্রতিক্ষিপ করিও না। তোমাদের প্রয়োজন লাভের জন্ত, হিতের জন্ত, মুখের জন্য যেন অধিক দিন অতিবাহিত না হয়। আমি অমৃত সাক্ষাৎকার করিয়াছি, আমি যাছ সাক্ষাৎকার করিয়াছি, তাহাই অমৃত-অমৃতের ( মোক্ষের ) প্রাপক। আমি বুদ্ধ হইয়াছি। সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বদর্শী, মুশুভ্র ও আশ্রব-বর্জিত হইয়াছি। সৰ্ব্বধৰ্ম্ম বশীভূত করিয়াছি। আইস, আমি অল্পই তোমাদিগকে ধৰ্ম্মোপদেশ করিব। তোমরা অনঙ্গচিত্ত হইয়া শ্রবণ কর ও বুদ্ধিগোচর কর । তোমরা আইস । আমি বলিব— উপদেশ করিব। আমি তোমাদিগকে সম্যকৃরূপে জানাইব, উত্তমরূপে বুঝাইব, সম্যক অনুশাসন করিব, তোমরাও চিত্তকে ( আত্মাকে ) আশ্রৰবিমুক্ত দেখিতে পাইবে । মনুষোত্তর ধৰ্ম্ম সাক্ষাৎকার করিবে, করিয়া বুদ্ধ হইবে । আমাদের সকলেরই জর ও জাতিক্ষয় ( পুনর্জন্ম বিনাশ ) নিকটাগত হইয়াছে । ব্রহ্মচৰ্য্য পূর্ণ হুইয়াছে। করণীয় সকল করা হইয়াছে। হে ভিক্ষুগণ! তোমরা আমাকে দূর হইতে দেখিয়া মনে মনে স্থির করিয়াছিলে যে, গৌতম আসিতেছে ; কিন্তু গৌতম ঔদরিক ও ভ্রষ্ট। গৌতমের সহিত আমরা বাক্যালাপ করিব না। বৌদ্ধগণ এই স্থানে বলিয়া থাকেন, ৰুদ্ধদেব ঐরূপ বলিতেছেন, ইত্যবসরে সহসা তাহাদের সম্মুখে ত্রিচীবর ও ভিক্ষাপাত্র প্রাকুভূত হষ্টল। তদর্শনে সেই শিষপঞ্চক মনে করিলেন, এই সকল সন্ন্যাসচিহ্ন আমাদিগকে সন্ন্যাসী করিবার জন্তই প্রাবিভূর্ত झ्हेब्राप्छौँ। * 參 বুদ্ধের শ্ৰী, কাস্তি, তেজ, যোগবল ও জ্ঞান অমুম্ভৰ করিয়া সেই ভদ্রবংশীয় ব্ৰাহ্মণ-পঞ্চকের চৈতষ্ণোদয় হুইল । তাহারা বুদ্ধচরণে দগুৰং প্রণাম • করিলেন এবং কৃতাপরাধের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন। সেই মুহূর্তেই তাহার গৌতমকে শাস্তা অর্থাৎ গুরু-সংজ্ঞা প্রদান করিলেন । সেই মুহূৰ্ত্তেই তাহদের চিত্তে প্রতি, প্রসন্নতা ও গুরুত্ববুদ্ধি অধিরূঢ় হইল । স্নানকাল আগত দেখিয়া, তাহারা গুরুকে স্নানাদি করাইলেন। মানাস্তে বুদ্ধদেব মনে করিতে লাগিলেন, পূৰ্ব্ব বুদ্ধগণ কোথায় বসিয়া শিষ্যশাসন করিয়াছিলেন? অনন্তর যে স্থানে পূর্ব বুদ্ধগণ ধর্মোপদেশ করিয়াছিলেন, সেই স্থানে গুরত্নময় আসন-চতুষ্টয় প্রাঙ্গভূত,
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।