দশম পরিচ্ছেদ । לילt যুদ্ধদেব বাস করতে কপিলবস্তু নগরের অনেক লোক তাহার ধৰ্ম্মে আকৃষ্ট হইল । তাছার বৈমাত্রেয় ভ্রাতা নন্দ সৰ্ব্বপ্রথমে তদীয় ধৰ্ম্মগ্রহণ করেন। রাজপুত্র নন্দ সন্ন্যাসী হইলেন, দেখিয়া বৃদ্ধ রাজা, শুদ্ধোদন নিতান্ত ব্যথিত হইলেন। শাক্যসিংহ অন্ত এক দিন ভিক্ষার্থ রাজভবনে আসিয়াছেন, এমন সময় গোপা রাহুলকে উত্তম পরিচ্ছদে ভূষিত করিয়া বলিলেন, “তুমি তোমার পিতার নিকট গিয়া পৈতৃক ধন চাও।” শাক্যসিংহ যখন গৃহত্যাগী হন, রাহুল তখন শিশু । রাহুল যেমন মা চেনে, পিতাকে তেমন চেনে না । সে এখন বলিল, “কে আমার পিত Pগুনিয়া গোপী অঙ্গুলি নির্দেশ পূর্বক বলিলেন,"ঐ যে সন্ন্যাসী দেখিতেছ, উনিই তোমার পিতা । উনি আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া যাওয়া অবধি আমরা আর উইকে দেখি নাই ! তুমি উহারই নিকট গিয়া স্বীয় অধিকার প্রার্থনা কর । উহার অনেক ধন আছে ।” রাহুল বুদ্ধের নিকট গিয়া, জননী যাহা শিখাইয়া দিয়াছিলেন, পুনঃপুনঃ তাহাই বলিল। বুদ্ধ বালকের কথায় কর্ণপাত না করিয়া ভোজনাস্তে স্তগ্রোধ বনে গমন করিলেন । বালক অনুগমন করিল এবং সেখানে গিয়াও সে ঐ কথা বলিল । বুদ্ধ দেখিলেন, কোনও শিষ্য বালককে নিবারণ করিতেছে না । তখন তিনি মনে করিলেন, এ বালক, কিছুই জানে না, কেবল জননীর কথায় ধনের ভিখারী হইয়াছে, হয়ে বুদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে চলিতেছে, আর ধনের কথা উল্লেখ করিয়া বিরক্ত করিতেছে। যাহাই হউক, আমি যে বোধিক্রমতলে সপ্তরঞ্জ পাইয়াছি, ইহাকে তাহারই অধিকারী করিয়া যাইব । • বুদ্ধদেব ঐরূপ চিন্তার পর স্বীয় অস্তুরঙ্গ শিষ্য শারীপুত্রকে আদেশ করিলেন, এই বালককে দলভুক্ত করিয়া লও। পরমুহূৰ্ত্তেই রাজ গুদ্ধোদন ও গোপী রাহুলের মস্তকমুণ্ডনের ও সন্ন্যালিদলভুক্ত হওয়ায় সংবাদ শুনিতে পাইলেন । শাক্যসিংহ যত দিন কপিলবস্তুতে ছিলেন, প্রায়ই পিতার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন এবং নানা ধৰ্ম্ম প্রসঙ্গ করিতেন । সেইরূপে দীর্ঘকাল অতিবহন করিয়া পুনৰ্ব্বার মগধের রাজগৃহে আগমন করেন । রাজগৃহে আসিবার সময় রাহুল, নদ, দেবদত্ত, অনিরুদ্ধ ও উপালী তাহার অনুসরণ করিয়াছিল। রাহুল উtহার পুত্র, উপালী এক নরমুন্দর-তনয় ; আর সকল গুলিই রাজার ভ্রাতুষ্পুত্র। কিছুকাল পরে রাজগৃহ হইড়ে তিনি অনাথপিওদ নামক জনৈক ৰণিক যুৰ
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।