ধন্থৰ্ব্বেদ । 盘红 লঘু নালীক নামক বাণ সকল নলাকার যন্ত্রের দ্বারা প্রক্ষিপ্ত হয়। এই নালিক বাণ উচ্চ, দুর, ও দুর্গে থাকিয় যুদ্ধ করিবার কালেই প্রশস্ত। এই নালিক যে আধুনিক বন্দুক অস্ত্রের অনুরূপ তাহ আমরা “আৰ্য্যজাতির যুদ্ধাস্ত্ৰ” নামক প্রবন্ধে সংপ্রমাণ করিয়াছি। বিবিধ ধমুক ও বিবিধ শরনিৰ্ম্মাণের পদ্ধতি বর্ণিত হইল, এক্ষণে তদুভয়ের ব্যবহার প্রণালী বলা আবশুক । প্রথমতঃ স্থান, পরে মুষ্টি, পশ্চাৎ আকর্ষণের কথা বলিব । স্থান । স্থান শব্দের অর্থ অবস্থান। কখন দাড়াইয়া, কখন বক্র হইয়া, কখন বা নত হইয়া, যুদ্ধ করা আবশুক হয়। এজন্ত অবশুক অনুসারে দাড়াইবার, বসিবার, বক্র হইবার,ও নত হইবার বিশেষ বিশেষ নিয়ম, কৌশল, “কাএদ।” আছে। সেই সকল কায়দার নাম “স্থান” । এই স্থান নামক কাণদ গুলি আয়ত্ত ও অভ্যস্ত করিতে হয়, নচেৎ যুদ্ধ করা যায় না। “কাএদায়” না থাকিলে, শরীর বিচলিত হইয়া গিয়া, লক্ষ্যভেদ প্রভৃতির ব্যাঘাত জন্মায় ও শীঘ্রই শ্রাস্ত হইতে হয়। এজন্তু ধনুর্যোদ্ধার পক্ষে অগ্রে স্থানগুলি অভ্যাস করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেই স্থান যুদ্ধ শাঙ্গ ধরের মতে আট প্রকার। যথা— আলীঢ়, প্রত্যালীঢ়, বিশাখ বা বিশাল, সমপদ বা সমপাদ, বিষমপাদ, দস্তুরক্রম, গরুড়ক্রম ও পদ্মাসনক্রম । ইহার অন্ত নাম স্থানক। স্থানকের লক্ষণগুলি যথাক্রমে বর্ণন করা যাইতেছে। আলীঢ়— “অগ্রতে বামপাদঞ্চ দক্ষিণঞ্চামুকুঞ্চিতম্। আলীঢ়ত্ত্ব প্রকর্তব্যং হস্তদ্বয়স্থবিস্তরম্ ॥” বা পা সম্মুখে রাখিয়া দক্ষিণ বা পিছুদিকে কুঞ্চিত করিয়া আলীঢ় নামক স্থানে অবস্থান করা কৰ্ত্তব্য। পরন্তু তাহ যেন পদদ্বয় পরিমাণ অপেক্ষা অধিক বিস্তৃত न श्ध्न ! প্রত্যtলীঢ়— "ب “প্রত্যালীঢ়ং প্রকর্তব্যং সবাঞ্চৈবামুকুঞ্চিতম্। দক্ষিণস্তু পুরস্তদ্বৎ দূরপাতে বিশিষ্যতে ॥” আলীঢ়কে বুৎক্রম করিলে তাহ প্রত্যালীঢ় হইবে । এই প্রত্যালীচুে করিতে
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।