ধনুৰ্ব্বেদ । ఆరి পশ্চাৎ তাহ কর্ণপৰ্য্যন্ত আকর্ষণ করিয়া লক্ষ্যের উপর মন ও দৃষ্টি রাখিয়া, সেই বাণ প্রয়োগ করিবে এবং যত্ন পূর্বক আত্মরক্ষা করিবে। যখন দেখিবে যে দৃষ্টি ও মন লক্ষ্য ভিন্ন অন্ত কিছুতে যায় না, তখনই জানিবে, ধন্বা কৃতহস্ত হইয়াছেন। ধনুক, শর, শরের ফল, জ্য, মুষ্টি ধনুকের ছিল বা বাণ-প্রয়োগ-প্রণালী প্রভৃতি বিবিধ শিক্ষিতব্য বা জ্ঞাতব্য বিষয়ের বর্ণনা করা হইয়াছে, এক্ষণে ধরিবার পদ্ধতি, লক্ষ্য ও শ্রমক্রিয়া প্রভৃতি কতিপয় ধানুষ্কবেদ্য বস্তুর বর্ণনা করিব । লক্ষ্য বা বেধ্য । শর দ্বারা ষাকু বিদ্ধ করিতে হইবে তাহাই লক্ষ্য । যাহাকে বিদ্ধ করিবার ইচ্ছা করিবে তাহাও লক্ষ্য । যুদ্ধকালে নানা প্রকার লক্ষ্য বিদ্ধ করিতে হয় । কোন বস্তু চক্রবৎ ঘুরিতেছে ; তাহাকে বিদ্ধ করিতে হইবে। কেহ বায়ুবেগে দৌড়িতেছে—তাহাকেও বিদ্ধ করিতে হইবে । কোন বস্তু অত্যন্ত কঠিন—তাহারও ভেদসাধন করিতে হইবে । কোন পদার্থ অতি বৃহৎ তাহাকেও ছিন্ন ভিন্ন করিতে হইবে । কেহ লুক্কায়িত হইয়া যুদ্ধ করিতেছে অর্থাৎ বাণ পরিত্যাগ করিতেছে অথচ দেখা যাইতেছে না—এইরূপ ব্যক্তিকেও বিদ্ধ করিতে হইবে । এ সকল ঃসাধ্য কার্য্যে সহজে সিদ্ধ হওয়া যায় না, অনেক ষত্নে ও অনেক পরিশ্রমে উক্তবিধ কার্য্যে দক্ষতা লাভ করা যায়। ভবিষ্যৎ যুদ্ধে উক্তবিধ বিবিধ লক্ষ্য সমুদ্রে অবগাহন করিতে হইবে জানিয়া অগ্রে তাদৃশ সমুদ্র হইতে উত্তীর্ণ হইবার জন্য সস্তরণ শিক্ষা করা আবশ্যক। ধনুৰ্ব্বেদবিৎ পণ্ডিতগণই তাহার উপযুক্ত শিক্ষক। র্তাহাদের নিকট, তাদের কৃত গ্রন্থের নিকট লক্ষ লক্ষ লক্ষ্য-সমুদ্রসন্তরণের প্রণালী শিক্ষা করিবে । ধনুৰ্ব্বেদবিৎ আচাৰ্য্যগণের গ্রন্থে দেখা যায় যে, শিক্ষাকালে চারি প্রকার মাত্র লক্ষ্য অবলম্বন করিয়া তাহদের বেধ শিক্ষা করিতে হয়। সেই লক্ষ্যে নৈপুণ্য লাভ করিলে সমুদায় লক্ষ্যই আয়ত্ত হইতে পারে। ॐ९ों- - “অবিচাল্যঞ্চ স্বাক্ষঞ্চ সুকুমারমথো গুক । চাতুর্বিবধ্যঞ্চ লক্ষ্যস্ত ধনুৰ্ব্বেদবিদে বিদ্যুঃ ॥ ভূভূপ্তেদশ্চ বিচাল্যং স্বয়ং গুঞ্জাদিভেদনম্। কুকুটাম্ভোদকুন্তানাং ভেদনং সুকুমারকম্। রক্ষোগজাদিদেহানাং পাতনং গুরুরুচ্যতে । এবঞ্চ লক্ষ্যবিবৃতির্বিজ্ঞেয়া নীতিমত্তরৈঃ ” (বৈ,"খচু।
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।