ধনুৰ্ব্বেদ। به وعة উত্তরেণ সদাকাৰ্য্য-মবশুমবরোধকম্। ংগ্রামেণ বিন লক্ষ্যং ন কাৰ্য্যং দক্ষিণমুখম্।।” ( বৃ, শা। যে দিন প্রাতঃকালে শরাভ্যাস করিবে—সে দিন পশ্চিম দিকে লক্ষ্য স্থাপন করিবে এবং যে দিন অপরাহ্নে শরাভ্যাস করিবে,—সে দিন পূৰ্ব্ব দিকে লক্ষ্য স্থাপন করিবে, পরস্তু উত্তরদিকটা উভয় সাধারণ ; অর্থাৎ কি প্রাতঃকাল কি বিকাল উভয়কালেই উত্তরদিকে লক্ষ্যস্থাপন করা যায়। অপিচ, সংগ্রামকাল ব্যতীত অন্ত সময়ে দক্ষিণ-দিক্স্থিত লক্ষ্যে শর নিপাতন অবৈধ। আপনার স্থিতি-স্থান হইতে কতদূরে লক্ষ্য স্থাপন করা উচিত তাহাও বিবেচ্য। তৎসম্বন্ধে শাঙ্গ ধর যাহা বলিয়াছেন, তাহা এই— “ষষ্টিধন্বন্তরে লক্ষ্যং জ্যেষ্ঠং লক্ষ্যং প্রকার্ভুিতম্। চত্বারিংশষ্মধ্যমঞ্চ বিংশতিশ্চ কনিষ্ঠকম্।।” ৪ হাত পরিমাণকে ধনু বলে,* সুতরাং ৬০ ধনুতে - ৪০ হাত । এই ২৪০ হাত দূরে স্থাপন করিয়া বিদ্ধ করাই শ্রেষ্ঠ । ৪০ ধন্থ অর্থাৎ ১৬৯ হাত দূরে রাখিয়া বিদ্ধ করা মধ্যম। আর ২• ধনু অর্থাৎ ৮০ হাত দূরে রাখিয়া বিদ্ধ করা অধম । শরবেধ্য লক্ষ্য সম্বন্ধেই এই দূরত্ব নির্দিষ্ট হইয়াছে কিন্তু নারাচবেধ্য লক্ষ্য সম্বন্ধে কিছু প্রভেদ আছে। যথা— “শরাণাং কথিতং হোতৎ নারাচানামথোচ্যতে । চত্বারিংশস্তথা ত্রিংশত ষোড়শৈব ভবেন্ততঃ ” শর সম্বন্ধে উক্ত দুরত্ব বলা হইল, এক্ষণে নারাচ সম্বন্ধীয় দুরত্বের কথা বলা যাইতেছে। যে বাণ সৰ্ব্বলৌহ-তাহ নারীচ নামে খ্যাত। সেই নারচ সমধিক ভার বলিয় তাহার শরের স্থায় দুরগতি হইবার সম্ভাবনা নাই। সুতরাং তাহার গতি-পরিমাণ অনুসারেই তদ্বেধ্য লক্ষ্যের দুরগত উত্তমাধম মধ্যম ভাব ব্যবস্থিত হয়। নারাচ দ্বারা লক্ষ্য ভেদ শিক্ষা কালে ৪০ ধনু অর্থাৎ ১৬০ হাত অস্তরে লক্ষ্য স্থাপন করাই উত্তম, ৩• ধনু বা ১২০ হাত দুরে স্থাপন করা মধ্যম এবং ১৬ ধনু বা ৬৪ হাত দূরে স্থাপন করা অধম। ২৪• হাত দূরে লক্ষ্য রাখিয় তাহ বিদ্ধ করিতে শিখিবে এই বিধির দ্বার • ‘চতুৰ্ব্বিংশাঙ্গুলো হস্ত-স্ত চতুষ্কং ধনুঃ স্মৃতম্” ইতি জ্যোতিধৰ্ম্ম ।
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।