4ούν ভারত-রহস্ত । " পূৰ্ব্বকালের লোকের শারীর বল ও তাঁহাদের বাণের বেগ কত অধিক ছিল একথা পাঠক মাত্রেরই ভাবিয়া দেখা উচিত। সেই সকল বীরপুরুষের হস্তনিক্ষিপ্ত তীর ২৪• হস্ত দুরে গিয়াও সবেগ থাকিত—এ বড় সাধারণ কথা নহে। অন্ত এক স্থানে লিখিত আছে “নাল্লমাত্রগতিস্তু স: |” তীর ৪০০ শত হাত পৰ্য্যস্ত যায়। যে ৪০০ হাত যায়— সে যে ২৪০ হাত স্থানে অবস্থিত লক্ষ্য বিদ্ধ করিয়া পর পারে যাইবে – তাহা আর বিচিত্র কি ? এক্ষণে সামান্ত বন্দুকের গুলি বোধ হয় ৪০০ হাত যায় না, কিন্তু তাহাদের বাহুবল প্রেরিত বাণ ৪০০ হাত যাইত, ইহা মনে করিলেও হৃৎকম্প উপস্থিত হয় । কতক্ষণ পর্য্যস্ত লক্ষ্যবেধে পরিশ্রম করিতে হইবে তাহাও বিধিবদ্ধ হইয়াছে । যথা— “চতুঃশতৈশ্চ ক্ষাস্তানাং যে হি লক্ষ্যং বিসর্জয়েৎ | সুৰ্য্যোদয়ে চাংগুময়ে স জ্যেষ্ঠে ধম্বিনাং ভবেৎ। ত্রিশতৈম ধ্যমে বাণৈ দ্বিশতভ্যাং কনিষ্ঠকঃ ” পূৰ্ব্বত্ত্বে ও অপরাহ্লে ষে ৪০০ শত বার বিদ্ধ করিয়া লক্ষ্য পরিত্যাগ করে, অর্থাৎ শ্রমক্রিয়া হইতে বিরত হয়, সে উত্তম ধনুধর্ণর হয় । ৩০০ বাণ ত্যাগের পর ক্ষাস্ত হইলে সে মধ্যম এবং ২০০ বাণ ত্যাগ করিয়া নিবৃত্ত হইলে সে অধম । ফল, “তাবদেব শ্রমঃ কুৰ্য্যাৎ যাবল্লায়াসসম্ভবঃ”। ততক্ষণ পর্য্যন্ত শ্রম করিবেযতক্ষণ শরীরে ও মনে ক্লাস্তি না জন্মে । লক্ষ্যের পরিমাণ । শিক্ষাকালে যে পরিমাণ উচ্চে লক্ষ্য বিন্যস্ত করিতে হইবে—তাহার এবং তাহার অবাস্তুর বিধান এইরূপ— “লক্ষ্যঞ্চ পুরুষোন্মানং কুৰ্য্যাচ্চন্দ্রকসংযুতম্” (引,洲1 পুরুষ-প্রমাণ অর্থাৎ ৩০ হাত উচ্চ কাষ্ঠ-নিৰ্ম্মিত অথবা লৌহনিৰ্ম্মিত দণ্ডের মস্তকে চন্দ্রক অর্থাৎ চন্দ্রবৎ গোলাকার কাঠফলক যোজিত করিবে, তদগ্রে কিংবা তন্মধ্যে বেধ্য বস্তুটা স্থাপন পূর্বক দূর হইতে তাহা বিদ্ধ করিতে শিখিবে । অথবা সেই চন্দ্ৰকযুক্ত পুরুষোন্মান লক্ষ্যের উন্ধ, নাভি ও পাদদেশ বিদ্ধ করিতে থাকিবে । উৰ্দ্ধবেধো ভবেচ্ছে ষ্ঠে নাভিবেধে চ মধ্যম । ঘং পাদবেধে লক্ষন্ত স্ত্র কনিষ্ঠ স্থতে বুধে ।” ( , "ti s
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।