१8- ভারত-রহস্ত ! এই অস্ত্র অতি পুরাতন। অতি পূৰ্ব্বকালে ইহার আটট মাত্র নাম ছিল। যথা—অসি, বিশসন, খড়গ, তীক্ষবৰ্ম্ম, দুরাসদ, শ্ৰীগৰ্ভ, বিজয় ও ধৰ্ম্মপাল বা ধৰ্ম্মমাল। অনস্তর ইহার আরও কয়েকট নাম বৃদ্ধি হইয়াছিল। যথা—নিন্ত্রিংশ, চন্দ্রহাস, রিষ্ঠী, কৌক্ষেয়ক, মওলাগ্ৰ, করপাল, করবাল, তরবার ও তরবারি। ছোট বড় ও গঠনের তারতম্য অনুসারে ইহার আরও দুই চারিট নাম আছে। সে সকল ক্রমে ব্যক্ত হইবে । ধনুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রে অসি সম্বন্ধে বিবিধ পরীক্ষা লিখিত আছে। তাহা হইতে প্রথমে আমরা লৌহ পরীক্ষাটী বিবৃত করিব । জগ্রে লৌহ পরীক্ষা, পশ্চাৎ তাহার দোষ গুণের পরীক্ষা করাই উচিত। & অসির উপযুক্ত লৌহ প্রথমতঃ দ্বিবিধ। নিরঙ্গ ও সাঙ্গ। প্রথমোক্ত নিরঙ্গ লৌহ আবার অনেকবিধ । সেই সকল ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণাক্রাস্ত লৌহকে কাঞ্চী প্রভৃতি নাম দ্বারা ব্যক্ত করা হয়। সেই সকল লৌহই অসি নিৰ্ম্মাণের উপযুক্ত এবং বিবিধ ব্যাধির বিনাশক । যথা – “লৌহানাং লক্ষণং বক্ষ্যে যথোক্তং মুনিপুঙ্গবৈঃ। নিরঙ্গসাঙ্গভেদেন তে লৌহ বিবিধ মতাঃ ॥ নিরঙ্গাঃ কাঞ্চিগাণ্ড্যাদিভেদাং বহুবিধা মতা: | অসিকৰ্ম্মসু তে শস্ত নানব্যাধিবিনাশনঃ ॥” বীরচিন্তামণি । খঙ্গ ও অন্তান্ত অস্ত্ৰ শস্ত্র প্রায়শঃই সাঙ্গ লৌহের দ্বারা নিৰ্ম্মিত হয়, এজন্ত সেই সাঙ্গ লৌহের ভিন্ন ভিন্ন নাম ও চিহ্ন সকল ব্যক্ত করাই কৰ্ত্তব্য। বীরচিন্তামণি ও শঙ্গাধর পদ্ধতি নামক গ্রন্থে এতদনুরূপ একটা বচন আছে, তাহা এই— “বক্ষ্যন্তে প্রায়ুশো যন্মাৎ সাঙ্গাঃ খড়গাদি কৰ্ম্মসু । নামভেদেন চিহ্ননি লৌহানামভিদহে ।” খঙ্গাদি অস্ত্রশস্ত্রের উপাদান প্রধান প্রধান সাঙ্গ লৌহের নাম দশটী। ঘথ-রোহিণী, নীলপিগু, ময়ুরগ্রেবক, ময়ূরবঞ্জ, তিক্তিরাঙ্গ, সুবর্ণবঞ্জ, শৈবল. মালান, মেীযলবঞ্জ, কঙ্গেলবন্ত্র বা স্বর্ণক ও গ্রন্থিবজ। এতদ্ভিন্ন আরও কয়েক প্রকার লৌহ আছে, তাহ সামান্ত বলিয়া উপেক্ষিত হইয়াছে। এ সকলের লক্ষণ বা চিহ্ন উক্ত গ্রন্থে অতি বিস্পষ্টরূপে লিথিত হইয়াছে। যথা—
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।