পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&* ঐতিহাসিক রহস্ত –প্রথম ভাগ । বিশ্রেণীয় শক্ৰগণ নগরতোরণ পর্যন্ত ਬੋকরিল, কিছুতেই তানভঙ্গ হইল না এবং বিনাযুদ্ধে রাজ্য পরহস্তগত হইল "হিন্দুৰপতিগণ বনজিগের বহৰিগাৰি নির্যাতন সহ করিয়া, স্বাধীন হইবার মানসে সকল বিদ্যা পরিত্যাগ করত যুদ্ধবিদ্যা সৰ্ব্বাদরণীয় বোধ করিলেন। এ সময় সঙ্গীত, সাহিত্য কিছুরই অাদর রছিল না । সকলেই বীররসে উন্মত্ত, কে সঙ্গীত শুনিবে এবং কেই বা কাব্য পড়িবে। যাহার সে সময় কাব্য ও সঙ্গীতের আদর করিতেন, তাহারা কাপুরুষের মধ্যে পরিগণিত ; সুতরাং সঙ্গীতের আদর ক্রমেই হ্রাস পাইতে লাগিল। র্যাহার সঙ্গীতব্যবসায়ী, তাহাব অল্প শিক্ষা করিয়াই ওস্তাদ” হইয় উঠতে লাগিলেন । ইহার পরে ইংরাজদিগের রাজ্য—বঙ্গদেশে সমাজের বিপ্লব উপস্থিত। এ সময় কবি, যাত্র, পাঁচালি প্রভৃতি নানাপ্রকার গান প্রচলিত হওয়াতে বিশুদ্ধ সঙ্গীত প্রণালী ক্রমেই হীন পরিচ্ছদ পরিধান করিল। অধিকাংশ লোক অৰ্দ্ধ শিক্ষিত, সমাজ নানা কুসংস্কারে আবৃত, কাজেই কুবীতিও সুরীতি হইয়া উঠিল ; কালাবাতি গান লোকের ভাল লাগিল না, “কবির” আদব বৃদ্ধি হইল। ইহার পরে ইংরাজী বিদ্যা উত্তমরূপ অধ্যয়ন আরম্ভ হওয়াতে বাঙ্গালিগণ সুসভ্য হইতে লাগিলেন বটে, কিন্তু দেশীয় ৰিশুদ্ধ আমোদ প্রমোদ তাহাদিগের নিতান্ত ঘূণাকর বোধ হইল। এখন সঙ্গীত নিতান্ত প্রভাহীন এবং অসহায় । র্যাহারা সঙ্গীত আলোচনায় প্রবৃত্ত, তাহারা বিদ্যাহীন মুর্থ, এবং অহরহঃ মাদক দেবনে অনুরক্ত, ইহারা কিঞ্চিৎ শিক্ষা করিয়াই "ওস্তাদ ”। এ সকল লোককে সাধারণে “আতাই” কছে, এই শ্রেণী সঙ্গীতের পরম শত্র । বঙ্গদেশেই “আতাই” অধিক, এ জন্ত এখানকার সঙ্গীত ক্রমেই বিকৃতভাব ধারণ করিয়াছে। নায়কদিগের সঙ্গীতে পশু পক্ষীe বিমোহিত হইত, ইহাদিগের গানে বানরেও হাস্ত করে। একালে সঙ্গীত্বের অবস্থা অতীব শোচনীয়,—চিন্তা করিলে হৃদয় বিদীর্ণ হয়। ইংরাজী ভাষায় সুশিক্ষিত ব্যক্তিগণ “নেটভ মিউসিকৃ” বলিয় সঙ্গীতের আদর করিলেন না, কিন্তু মুখের বিষয় ইংরাজগণ—যাহার আর্য্যদিগের শাস্ত্রে বিশেষ শিক্ষিত, তাহার জামাদিগের সঙ্গীতের নিনা করা দুরে থাকুক, ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছেন। তবে "ক্লার্ক সাহেবের কথা স্বতন্ত্র, তিনি ভারতবর্ষের কিছুই জানেন না, নাৰিকদিগের শারিগান” শুনিয়া প্রকৃত সঙ্গীত মনে করেন, তাছার নিকট বিশুদ্ধ সঙ্গীতের প্রশংসা প্রত্যাশা করা বৃথা। ইহাতে আমাদিগের ইয়ুরোপীয় সংগীতের নিনা