পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শালিবাহন ও সাতবাহন নৃপতি । ՀԵ-ֆ ছিলেন। তাহার পর ঘানেশ্বর ভগবদগীতার টীক মরাঠি ভাষায় ১৩৫০ খ্ৰীষ্টাব্দে রচনা করেন। তাহাদিগের ভাষার সহিত শালিবাহন-সপ্তশতীর মাহারাষ্ট্রী প্রাকৃত ভাষার অনেক ভিন্নত দৃষ্ট হইবে । ইহাতে বোধ হয়, শালিবাহনসপ্তশতী প্রাচীন গ্রন্থ । সেরূপ ভাষার অপর একখানিও গ্রন্থ মহারাষ্ট্র প্রদেশে প্রচলিত নাই । শালিবাহন-সপ্তশতী সপ্ত অধ্যায়ে বা শতকে ৰিভক্ত। প্রত্যেক শতকের শেষে এইরূপ একটা করিয়া কবিতা আছে। যথা— রসি অ জন হি অ অ দ ই একই বচ্ছল পমুহ স্বরুই ণি স্ম বি এ ৷ সত্ত সতৰ্ম্মি সমৰ্ত্তং পঢ়মং গাহা সত্যং এ অম্ ॥ অর্থাৎ স্বরসিকগণের আনন্দবৰ্দ্ধক কবিকুলচুড়ামণি কবিবৎসল কৃত প্রথম শত গাথা ( ৭০০ মধ্যে ) শেষ হইল । এই গ্রন্থ সাতবাহন বা শালিবাহনকৃত তাহাব সন্দেহ নাই, কেননা ইহাতে অনেক স্থলে গোদাবরী ও বিন্ধ্যাচলের উল্লেখ আছে । ইহার মধ্যে স্থানে স্থানে বৌদ্ধ, ভিক্ষু, সঙ্ঘ প্রভৃতি বৌদ্ধ ভাষার উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। সুতরাং ইহার প্রাচীনত্ব নিঃসংশয়ে প্রতিপন্ন হইতেছে । গ্ৰন্থখানি সমুদায় শালিবাহনের লেখনীপ্রস্থত নহে । তাহার মধ্যে দুই স্থলে শালিবাহন ও বিক্রমের প্রশংসাসুচক কবিতা আছে, তাহা অপর কোন কবিপ্রণীত বলিয়া বোধ হয়। শালিবাহনসপ্তশতীর টীকাকার কহেন, তাহাতে নিম্নলিখিত কবিদিগের রচিত কৰিতাও আছে ৷ যথা, বোদিশ্ব, চুল্লই, অমররাজ, ফুমারিল, মকরদ সেন ও শ্ৰীবাজ । জৈন লেখকগণ কহেন, শালিবাহন জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন । কিন্তু ঐ গ্রেন্থের মঙ্গলাচরণ শ্লোকে পশুপতিকে বন্দনা করা হইয়াছে। শালিবাহন সংস্কৃত ভাষায় কোন গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন কি না তাহার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে না । শালিবাহন প্রাকৃত ভাষারই কবি ছিলেন, তদ্বিষয়ে “প্রাকৃতে সাতবাহনঃ” এইরূপ বাক্য প্রচলিত আছে। লক্ষ্মণ সেনের সভাসদ শ্ৰীধরদাস সদুক্তিকর্ণামৃত গ্রন্থে ৪৪৬ কবির কবিতা সংগ্ৰহ করিয়া প্রকাশ করিয়াছেন ; কিন্তু তাছার মধ্যে শালিবtছনের নাম নাই ; ইহাতে বোধ হইতেছে, তিনি কোন প্রসিদ্ধ সংস্কৃত কাব্য বচনা করেন নাই । 曦 ৩৬