পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈনমত-সমালোচন । ૨જે જે শ্ৰীমদ্ভাগবতের ৫ম স্বন্ধে ঋষভদেবের বিষয় লিখিত আছে। ইনি হিন্দুদিগের মতে বিষ্ণুর অংশাবতার। জৈনেরা ইহঁাকে প্রথম আহঁত বলিয়া জানেন। অর্থৎ নৃপতি ঋষভদেবের চরিত্র আদর্শ করতঃ ধর্শ্বের সংস্কারে প্রবৃত্ত হুইয়াছিলেন, এজন্ত তাহার আহঁত আখ্যা প্রদত্ত হইয়াছিল। পৌরাণিক মতে ঋষভদেব অতি প্রাচীন এবং মহারাজ ভরতের পিতা । জৈনেরা পরমেশ্বর অস্বীকার করেন না। তাহারা বলেন, “অৰ্ছৎ’ই পরমেশ্বর। ৰীতরগিস্তুতি নামক জৈনগ্রন্থে লিখিত আছে— “কৰ্ত্তান্তি নিত্যে জগতঃ স চৈকঃ স সৰ্ব্বগঃ স স্ববশ: স নিত্যঃ । ইমাস্তু ছেয়াঃ কুবিড়ম্বনঃ স্থ্যস্তেষাং ন ষেষামন্থশাসকত্ত্বম্ ॥” এই জগতের এক অদ্বিতীয় কৰ্ত্ত আছেন। তিনি নিত্য, সৰ্ব্বগত, স্বাধীন ; তিনি ভিন্ন এই সকল দৃগু সমস্তই বিড়ম্বনার সামগ্রী এবং কুদৃষ্টি অর্থাৎ মিথ্যাজ্ঞান-দৃষ্ট । হে অৰ্হৰু! তুমি যাহার শাস্তা বা নিয়ন্ত নহে, এমন কোন বস্তুই নাই । জৈনদিগের পরমেশ্বর বৈদাম্ভিক পরমেশ্বর হইতে ভিন্ন লক্ষণাক্রান্ত। জৈনের। পরমেশ্বরকে নিম্নলিখিত ভাবে দেখেন । সৰ্ব্বজ্ঞে জিতরাগাদিদোষস্ত্রৈলোক্যপূজিতঃ । যথাস্থিতাৰ্থবাদী চ দেবোহইন পরমেশ্বরঃ ॥ ( অহংচন্দ্র স্বরিকৃত আপ্তনিশ্চয়ালঙ্কার ) অর্থাৎ সৰ্ব্বজ্ঞ, রাগদ্বেষাদি সমস্ত দোষ-জয়ী, ত্ৰিলোক-মাদ্য, সত্যবাদী { অর্থাৎ আপ্ত পুরুষ ) অৰ্হত দেৰই পরমেশ্বর। ইহঁাদের মতে ধৰ্ম্মই একমাত্র মুক্তির সাধন । ধৰ্ম্ম, দ্বাবা বন্ধক্ষয় হইলে জীব মুক্ত হয়, অর্থাৎ স্বভাৰ প্রাপ্ত হয়। মুক্তিত্ব স্বরূপ সতত উদ্ধগমন । জৈনেরা এইরূপ বলেন, যথা— “স্মৃত্তিকা-বিলিপ্তমলার্বুদ্রব্যং জলেইধঃ পভতি—পুনরপেতষ্কৃত্তিকাবদ্ধং সৎ উৰ্দ্ধঃ গচ্ছত্তি—তথা কৰ্ম্মবন্ধবিনিমুক্ত আত্মা অসঙ্গত্বাৎ উর্দ্ধং গচ্ছতি ।” জৈন আচাৰ্য্যবৃন্দের এই মতপ্রকাশক শ্লোক যথা— “গত্বা গত্ব নিবর্তন্তে চন্দ্রস্বর্য্যাদয়ে গ্রহাঃ । অদ্যপি ন নিবর্তন্তে আলোকাকাশমাগতাঃ ॥”