পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঔ১৬ ঐতিহাসিক-রহস্য —তৃতীয় ভাগ। ইহাকে বোপদেব-প্রণীত বলিয়া অনাদর করেন। অনেক পণ্ডিত সেই সংশয়ের কারণ ছেদ করতঃ ভাগবত ব্যাসপ্রণীত সপ্রমাণ করিয়া, বিবিধ ক্ষুদ্র গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন । আমরা আদ্য ভাগবত ব্যাস-প্রণীত কি না, তাহার সিদ্ধাস্ত করিতে প্রয়াস পাইতেছি না এবং সকল পুরাণই যে বেদব্যাসের দ্বারা রচিত, ইহাও আমরা বিশ্বাস করি না ; তবে এই সকল গ্রন্থ যে আধুনিক এবং মুসলমানদিগের রাজ্যশাসনকালে রচিত হইয়াছে, ইহা বলাও আমাদিগের উদ্দেশু নহে । আমরা এক্ষণে ভাগবত বোপদেব-প্রণীত নহে এবং তাছী অতি প্রাচীন প্রসিদ্ধ গ্রন্থ, ইহাই সপ্রমাণ করিতে যত্ন পাইতেছি । র্যাহারা বলেন শ্ৰীমদ্ভাগবত ব্যাসদেব-কৃত নহে, ইহা বোপদেব-প্রণীত, র্তাহাদিগের তর্কের প্রণালী এইরূপ, যথা – “শঙ্কাপঙ্কবিলিপ্তত্ব-নিবন্ধানুদাহৃতত্ব-দৃঢ়বন্ধত্ব-পদলালিত্যহেতুকপ্রামাণ্যনিধিকরণমেতৎ * অর্থাৎ ভবিষ্যদ্বাণী কথনকালে কতকগুলি আধুনিক রাজা ও ঘটনাবলীর উল্লেখ দেখা যায়। কোন মান্ত সংগ্ৰহকাবের ইহার বচন উদ্ধার করেন নাই। আর্য গ্রন্থের দ্যায় ভাগবতেব রচনা প্রাঞ্জল নহে, অত্যন্ত আধুনিক শ্লিষ্ট শব্দের দ্বারা এই গ্রন্থের নিৰ্ম্মাণ, এবং ইহাতে যেরূপ পদলালিত্য ও পদবিদ্যাসচ্ছটা দৃষ্ট হয়, এরূপ পদবিদ্যাস ও লালিত্য আর্ষ সময়ে ছিল না । এই সকল কারণে ভাগবত ব্যাসকৃত নহে, ইহা বোপদেবকৃত ; বোপদেবের রচনাপ্রণালী এইরূপই দেখা যায় । -ভাগবতভূষণ"-কার এই সকল আপত্তির অকিঞ্চিৎকরত্ব-প্রতিপাদনের নিমিত্ত এইরূপ বলিয়াছেন – ১ম—কাঠক, কাপালক, মৌহল, মোঁদগল প্রভৃতি বেদভাগের নাম থাকিলেও তাহা যেমন জৈমিনি, তত্তৎঋষিকৃত শঙ্কা করিয়া তাহার পরিহার করিয়াছেন —অপৌরুষেয় বলিয়া নিশ্চয় করিয়াছেন, এখানেও সেইরূপ কর । ২য়-মান্ত গ্রন্থকারের ভাগবতের প্রমাণ একেবারে ধরেন নাই, এমত নহে ; আবশুকমতে বোপদেবের পূৰ্ব্বস্তবিক চিৎস্বখ মুনি প্রভৃতি অনেক মান্ত গ্রন্থকারের ভাগবতের প্রমাণ গ্ৰহণ করিয়াছেন । তবে র্যাহারা ভাগবতের প্রমাণ গ্ৰহণ করেন নাই, তাহাদিগের প্রবন্ধ ভিন্নপ্রকার। অর্থাৎ তাহীদের গ্রন্থ সকল