পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোপদেব ও শ্ৰীমন্তাগবত । ৩১৭ তত্ত্বপ্রতিপাদক নহে, কেবলমাত্র বর্ণাশ্রমব্যবস্থা বা প্রাধান্তরূপে জ্ঞানমার্থপ্রকাশক গ্রন্থ। সেই কারণেই তাহারা ভাগবতকে আপনাদের গ্রন্থমধ্যে আনয়ন করেন নাই। ৩য়—যদি ছানোগ্য উপনিষদ, বিষ্ণুপুরাণ, ভাগবতীয় অষ্টাৰক্ৰাখ্যান, সনৎস্বজাত প্রভৃতি সম্পূর্ণ কঠিন, গম্ভীরার্থ, পদলালিত্য ও বিন্যাসপরিপাটায়ুক্ত হইলেও তাহ আর্ষ হয়, তবে ভাগবত আৰ্য ন হইবে কেন ? অনন্ত সংস্কৃত প্রাকৃত ভাষাভিজ্ঞ ত্রিকালদশী ভগবান বেদব্যাসের নিকট সকলই সম্ভব, অসম্ভব কিছু নহে। তিনি অন্মদাদির স্থায় ক্ষুদ্র জ্ঞানের পাত্র নছেন। ৰিশেষ তিনি এক সময়ে সকল গ্রন্থ রচনা করেন নাই—যখন সময়ভেদ আছে, তখন লিপির প্রকারভেদ ন হইবে কেন ? আমরা অদ্য যে রীতিতে গ্রন্থ লিখিতেছি, পরশ্ব লিখিতে হইলে তাহ ভিন্নপ্রকার হইয়া যাইবে। ইত্যাদি ৰিচার দ্বারা ভাগবতভূষণকার আপত্তিকারিগণের সিদ্ধান্ত খণ্ডন করিয়া ভাগবত প্রাচীন গ্রন্থ, বোপদেবকৃত নহে, সপ্রমাণ করিয়াছেন। শঙ্করাচাৰ্য্যের সময়ের ২•• শত বৎসর পরে বোপদেবের জন্ম হয়, এবং শঙ্করাচার্য ৰিফুসহস্ৰ-নাম-ভাষ্যে ও চতুর্দশ-মত-বিৰেকে ভাগবতের উল্লেখ করিয়াছেন । পুনরায় শঙ্করাচার্য্যের পূর্ববর্তী হনুমৎ ও চিৎমুখ মুনি ভাগবতের টীকা করিয়াছেন। তাছা হইলে ভাগবত বোপদেবপ্রণীত বলা কি প্রকারে সঙ্গত হইতে পারে? সিদ্ধাস্তদর্পণ নামক গ্রন্থে লিখিত আছে— “বোপদেবকৃতত্বে চ বোপদেবপুরাভবৈঃ। কথং টীকা কৃত বৈ স্থার্হমুমচ্চিৎমুখাদিভিঃ ॥” অর্থাৎ যদি ভাগৰত ৰোপদেবের কৃত হয়, তবে ভৎপুর্ববৰ্ত্তী চিৎস্থখাচাৰ্য্য প্রভৃতি মহাত্মারা কি প্রকারে তাহার টীকা করিতে সমর্থ হইলেন ? গৌড়পদ ভাগবতের প্রমাণ গ্রহণ করিয়াছেন। ইনি শঙ্কারাচার্য্যের পূৰ্ব্বে বর্তমান ছিলেন। কেননা বৈদাস্তিকের অদ্যাপি পাঠকালে সম্প্রদায়-প্রবর্তকগণের নমস্কার করিয়া থাকেন। তাহাতে আদি পুরুষ ব্ৰহ্মা হইতে পর পর শঙ্কর-শিষ্য পৰ্য্যস্ত উল্লিখিত আছে । যথা— “নারায়ণং পদ্মভবং বশিষ্টং শক্রিঞ্চ তৎপুত্রপরাশরঞ্চ ব্যাসং শুকং গৌড়পদং মহাস্তং গোবিন্দযোগীন্দ্রমথস্তি শিষ্যম্। শ্ৰীশঙ্করাচাৰ্য্যমথাস্ত শিষ্যম্ * * * * *