পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৩৯

বেদ-বিভাগ । \రిఇd লুক্তের লক্ষণ—“সম্পূর্ণমৃষিবাক্যন্তু স্বত্তমিত্যভিধীয়তে।” বৃহদেবতা। নিরাকাঙ্ক্ষ ছন্দোময় ঋষিবাক্যের নাম স্বত্ত অর্থাৎ বৈদিক মহাবাক্যই সুক্ত । এই সুক্ত তিন প্রকার। ঋষিমুক্ত, দেবতাস্বত্ত, ছন্দঃস্বত্ত । ঋষি ও দেবতাস্থক্তের লক্ষণ,— ঋষিস্থত্তানি যাবস্তি স্বত্তালোকস্ত বৈকৃতিঃ । শুয়েতৈকান্ত যাবৎক্ষ্ম তৎ স্বক্তং দৈবতই বিদ্যুঃ ॥” ( বৃহদেবত ) একজন ঋষির কৃত বা দৃষ্ট যতগুলি স্বক্ত অর্থাৎ মহাবাক্য বা ৰাক্য, সেইগুলি ঋষিস্বত্ত । ১ম অষ্টকের প্রারম্ভস্থ “অগ্নিমীড়ে” ইত্যাদি হইতে “ইন্দ্র বিশ্ব অববৃধৎ” ইত্যন্ত ঋক্ ভাগ (২০ বর্গাত্মক ) একটি ঋষিস্থত্ত, কেননা ঐ সমস্ত ঋকৃগুলি একমাত্র মধুচ্ছন নামক ঋষির কৃত, আর তন্মধ্যস্থ অগ্নি দেবতার স্তবস্থচক ঋক্ দেবতা-স্বত্ত, কেননা ঐ ৯ ঋক্ দ্বারা একমাত্র অগ্নিদেবতার স্তোত্র প্রকাশ इहेब्राप्छ । একচ্ছন্দে নিৰ্ম্মিত পর পর ক্রমানুসারে স্থাপিত হইলে তাহা ছন্দঃস্বত্ত । যথা—ঐ “অগ্নিমীড়ে” হইতে ১৮ বর্গ পৰ্য্যন্ত সমস্ত ঋক্ গায়ত্রীচ্ছন্দে গ্রথিত বলিয়া তাহ ছন্দঃস্বত্ত । ঋগ্বেদের বর্গবিভাগ ও অধ্যায়ৰিভাগের কোন নির্দিষ্ট লক্ষণ নাই। উহ! স্বাধ্যায় বা অধ্যয়নসম্প্রদায় পরম্পরায় প্রসিদ্ধ হইয়া আসিয়াছে। কিন্তু ঋগ্বেদের মণ্ডলের লক্ষণ সম্বন্ধে সৰ্ব্বানুক্রমণিকা গ্রন্থে শৌনক বলিয়াছেন যথা— “য আদিরসঃ শৌনহোত্রে ভূত্বা ভার্গবং শৌনকোহুভবৎ স গৃৎসমদো দ্বিতীয়ং মণ্ডলমপশুৎ ** - অর্থ এই যে, ভার্গব আঙ্গিরস যাহা দেখাইয়াছিলেন, গৃৎসমদ দ্বিতীয় মণ্ডলে তাঁহাই দেখিয়াছেন। ভাব এই যে, ২৮ মওলের সমুদায় স্বত্ত গৃৎসমদের জ্ঞানে উদিত হয় নাই, অধিকাংশ তাহার সংগ্রহ। এই সকল নিৰ্বাচন দেখিয়া বৈদিক অধ্যাপকের মণ্ডলের লক্ষণ এইরূপ নির্দেশ করেন যে