পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্য্যসম্প্রদায়ের আচার ব্যবহার। - حبیبیعی مشروحتیجهه به سرعیع۹ বেদ সম্বন্ধীয় প্রস্তাবে পুরাকালের আর্যগণের আচার ব্যবহার কিঞ্চিৎ বর্ণণ করিয়া তষিয়ে পুনৰ্ব্বার লেখনী ধারণ করিতে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলাম, সে জন্ত অদ্য তাহ বিশেষরূপে আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলাম। একটা প্রবন্ধেই এই গুরুতর ৰিষয় শেষ না করিয়া, এতৎসম্বন্ধে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র প্রস্তাৰ লিখিতে ইচ্ছা त्रां८झ् । আর্য শব্দ যে জাতিবাচক, তাহার প্রমাণ কোন প্রাচীন গ্রন্থে প্রাপ্ত হওয়৷ ষায় না। তবে “আৰ্য্যাবর্তঃ পুণ্যভূমির্মধ্যং বিন্ধহিমাগরোঃ ” এই অমরসিংহোক্ত বাক্যে যে ‘আর্য্যাবর্ত’ শব্দ আছে, উহার অর্থ ‘আর্যাদিগের আবাসভূমি’ ; কিন্তু এতদ্বারা আর্য্যনামক জাতির অস্তিত্ব প্রমাণ হয় না। সাধারণতঃ আৰ্য্য শব্দের অর্থ শ্রেষ্ঠ । ঈশ্বর কৃষ্ণ সাম্বাসপ্ততির শেষে লিথিয়াছেন “আৰ্য্যমতিভিঃ।” বাচস্পতি ইহার ব্যাখ্যা করিয়াছেন “আরজাতাস্তত্ত্বেত্য ইত্যাৰ্য্যা: । আর্য্যা মতির্যস্য স আর্য্যমতিঃ ।” আর্য্যমতি অর্থাৎ বিশুদ্ধ বা তত্ত্বনিচয়ের নিকটবৰ্ত্তী শ্ৰেষ্ঠবুদ্ধিযুক্ত ব্যক্তি। বাচস্পতি-মতে ‘আরাৎ শব্দের উত্তর " য " প্রত্যয় এবং পৃযোদৱাদি নিয়মে আর্য্যশব্দ সিদ্ধ হইয়াছে। ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ যে ঈরাণ হইতে আর্যগণের প্রথম আগমন উল্লেখ করিয়াছেন, উল্লিখিত বুৎপত্তির দ্বারা কথঞ্চিৎ তাহার আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায় বটে ; কিন্তু তথা হইতে র্তাহাদিগের আগমনবার্তা কোন হিন্মুশাস্ত্রে দেখিতে পাওয়া যায় না। কেহ কেহ অনুমান করেন যে, বর্তমান হিন্দুদিগের আদিপুরুষেরা উত্তরকুরুতে ছিল। সেই উত্তরকুরু যে কোথায় ছিল, তাহাব কোন নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায় না। মহাভারতীয় বনপর্কে লিখিত আছে, যখন পাও, রাজা পুত্রোৎপাদন নিমিত্ত কুন্তীকে অনুরোধ করিয়াছিলেন, সেই সময় তিনি বলিয়াছিলেন যে, “উত্তর কুরুতে অদ্যাপি স্ত্রীজাতি অনাবৃত আছে।” ইহাতে এস্থান ভারতবর্ষের অন্তৰ্ব্বত্ত্বি বলিয়া বোধ হইতেছে না। বোধ হয়, মধ্য এশিয়ার