পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণিনি } 8ᎼᏜ এই ভাষা তৎকালের লোকের অতীব হৃদয় আকর্ষণ করিয়াছিল। ক্রমে অধ্যয়ন ও অধ্যাপন আবন্ত হইল। তৎপরে শিক্ষাব সুগম উপায় করিবার নিমিত্ত সঞ্জাত শব্দের জাতিৰিভাগ ও লক্ষণাদি নিৰ্ব্বাচিত হইতে লাগিল এবং তদ্বারা অধ্যেতৃগণের অনেক আয়াস লঘু হইয়া আসিল । ভাগুরি, গালব, ব্যাঘ্ৰপাৎ, মিমত, তৌকায়ন প্রভৃতি ঋষিরা উহার স্বত্রপাত কবেন । শাকটায়ন, যাঙ্ক, ব্যাড়ি প্রভৃতি ঋষিদিগেয় দ্বাবা তাহার পূর্ণতা জন্মে। এতৎপরে অধিক সহজ উপায় অর্থাৎ সৰ্ব্বতোমুখ সুত্র রচনার উপায় স্থিবীকৃত হয় । স্বত্রনিৰ্ম্মাতাদিগের মধ্যে পাণিনি মুনিই শ্রেষ্ঠ d স্বত্র দ্বিবিধ—স্বচক ও সৰ্ব্বতোমুখ । স্বচককাবের স্বত্র বহু পুৰ্ব্বে প্রচারি গু হইয়াছিল, কিন্তু সৰ্ব্বতোমুখ স্বত্র মহাত্মা ইন্দ্রদত্ত কর্তৃক প্রথম বিবচিত হষ । ইন্দ্রদত্তেয় ঐন্দ্র ব্যাকরণ, চন্দ্রাচার্য্যের চন্দ্র, কাশমুনিব অঙ্গব্যাকরণ, কৃষ্ণাচার্য্যেব ব্যাকরণ, আপিশলির আপিশলস্বত্র, এতৎপরে পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী স্বত্র, তৎপরে অমরসিংহেব বর্গস্বত্র এবং অবশেষে জিনেত্র বুদ্ধিপাদ আচার্য্যের সংগ্ৰহস্থত্র জন্মলাভ করে। এত উন্নতির সময়েও, ভাষার অধিকার এত অধিক হইলেও, অনেক শঙ্কের রূপ-নিপত্তি স্বত্র দ্বারা নিৰ্বাহ হইত না। “উপসর্গ নিপাতাঃ” এই বলিয়া যাস্কার্দি'আৰ্ষ সময়েও নিপাতের প্রযোজন হইয়াছিল। “নিপাত” শব্দের অর্থ এই যে, “যদ্যল্লক্ষণেনানুৎপন্নং তৎ সর্বং নিপাতনাৎ সিদ্ধম্‌” ( কাতন্ত্রীরে দুর্গসিংহ ) ; লক্ষণ স্বাবা যে সকল পদের রূপনিষ্পত্তি না হর, সে সমস্ত নিপাতন-সিদ্ধ জানিবে । যাঙ্ক ৰলিয়াছেন “নিপতন্তি উচ্চাবচেম্বৰ্থেষু ইতি নিপাতাঃ” “উচ্চাবচ’ অর্থাৎ শব্দ সকল বিচিত্র অর্থে নিপতিত হইরা নিম্পন্ন হইলে তাঙ্গ নিপাত নাম প্রাপ্ত হয়। এইরূপ নিপাভেল প্রয়োজন পাণিনির সমযেও ছিল, পাণিনিও ইহা পরিত্যাগ করিতে সমর্থ হয়েন নাই। অর্থাৎ সৰ্ব্বতোমুখ স্বত্রদ্বারাও সকল শব্দকে আয়ত্ত করিতে পাবেন নাই। পাণিনি সংজ্ঞাপ্রকরণে বলিয়াছেন, “প্রাণীশ্বরান্নিপাতাঃ” অর্থাৎ ঈশ্বব শব্দের পূৰ্ব্ব পর্য্যন্ত নপাতের অধিকাব। এই নিপাতের স্থায় আর এক প্রকার সঙ্কেত আন্থে।