পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eiTR Gł6 ধৰ্ম্মসংহারকেরই বিশেষ স্বভাব হয় এমৎ নহে, কিন্তু সামান্যত চোর ও ব্যভিচারী তত্তদোষ প্ৰমাণ হইবার সময়ে সাক্ষীকে দুষ্ট ও অপ্ৰমাণ কহিয়াই থাকে, বরঞ্চ গ্রামের সকল লোককে আপন বিপক্ষ কহিয়া নিস্তারের পথ অন্বেষণ করে, কিন্তু চোর দুরাচার জগতের মুখ রুদ্ধ করিয়া অস্বীকারবলে কবে নিস্তার পাইয়াছে । ১৬৭ পৃষ্ঠে ১৬ পংক্তিতে ধৰ্ম্মসংহারক লিখেন যে “প্রয়াগাদি সপ্ত আর প্রায়শ্চিত্ত চুড়া এই নয় প্রকার কেশ ছেদের নিমিত্ত হয় তাহার কোন নিমিত্তপ্রযুক্ত যে কেশ ছেদ তাহার নাম নৈমিত্তিক কেশ ছেদ” পরে ১৬৮ পৃষ্ঠে ৪ পংক্তিতে এই বচন লিখেন “( প্ৰয়াগে তীর্থযাত্রায়াং মাতাপিত্রোগুরেী মৃতে । আধানে সোমপানে চ বপনং সপ্তসু স্মৃতিং )—প্ৰায়শ্চিত্ত ও চুড়াতে কেশ ছেদন প্ৰসিদ্ধই আছে।” এ স্থলে জিজ্ঞাস্য এই যে ঐ বচনপ্ৰাপ্ত যে বপন শব্দ তাহার তাৎপৰ্য্য যদি সৰ্ব্বকেশমুণ্ডন হয়, তবে প্ৰয়াগ ও প্ৰায়শ্চিত্তাদি স্থলে কেবল ঐ বচনানুসারে ব্যবস্থার ব্যবহার দেখা যায় কিন্তু পিতৃ মাতৃ গুরু মরণে ও আধানাদিতে ঐ বচন প্ৰাপ্ত ব্যবস্থার অনাদর ” দেখিতেছি, আর যদি শিখা ব্যতিরিক্ত মুণ্ডন ওই বচনস্থ বপন শব্দের অর্থ হয়, তবে প্ৰয়াগ ও প্ৰায়শ্চিত্তাদি স্থলে ঐ বচনপ্রাপ্ত ব্যবস্থার বিরুদ্ধ ব্যবহার দৃষ্ট হইতেছে, তাহাতে অন্য বচনের সহিত একবাক্যতা করিয়া মিতাক্ষরাকার প্রয়াগেও শিখা ব্যাতিরিক্ত কেশ বপন অঙ্গীকার করেন, কিন্তু স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য প্ৰয়াগাদিতে বচনান্তর প্রমাণে সৰ্ব্বমুণ্ডন কৰ্ত্তব্য কহিয়াছেন, সেইরূপ পূর্ণাভিষেকীরা বিশেষ সংস্কারে শিখা ত্যাগে পাপবুদ্ধি করেন না। যদি আমাদের মধ্যে মস্তকের উদ্ধভাগে গ্রন্থিবন্ধনযোগ্য কেশের বপন কেহ করিয়া থাকেন, তদ্বিষয়ে আমরা প্ৰথম উত্তরে ২১ পুষ্ঠে লিখিয়াছি যে “এরূপ ক্ষুদ্র দোষে মহাপাতকশ্রুতি যে সকল বিষয়ে আছে তাহার ক্ষয়ের নিমিত্ত ওইরূপ অল্পায়াসসাধ্য অন্নহিরণ্যাদি দােনরূপ উপায়ও আছে” অর্থাৎ নিন্দাবচনপ্ৰাপ্ত ব্ৰহ্মহত্যাদি পাপ স্তুত্যৰ্থ বচনপ্ৰাপ্ত ব্ৰহ্মহত্যাদির প্রায়শ্চিত্তের দ্বারা নাশকে পায় এবং ইহার প্রমাণের নিমিত্ত আমরা তিন বচন লিখিয়াছিলাম, যাহার তাৎপৰ্য্য এই ছিল যে অন্ন হিরণ্যাদি দানে ব্ৰহ্মহত্যাদি পাপক্ষয় হয় আর ক্ষণমাত্ৰও জীব ও ব্রহ্মের ঐক্য চিন্তা করিলে সর্বপাপ নষ্ট হয়। তাহার প্রত্যুত্তরে ধৰ্ম্মসংহারক ১৭০ পৃষ্ঠে ১৫ পংক্তি অবধি লিখেন যে “বৃথাকেশচ্ছেদনে শিখাবিরহে সুতরাং শিখাবন্ধনের অভাবে সেই শিখারহিত ব্যক্তির তৎকৃত সন্ধ্যা বন্দনাদি কৰ্ম্মের প্রত্যহ বৈকুণ্য জন্মে।” পরে ১৭১ পৃষ্ঠে স্মৃতিবচন লিখিয়া ৮। পংক্তিতে লিখেন যে "শিখার অভাবে ক্রমে ঐ পাপ মহাপাতকতুল্য হয়। যেমন উপপাতক ক্রমে বৃদ্ধি হইয়া মহাপাতককেও লঙ্ঘন করে এবং ক্রমে ব্ৰাহ্মণ্যাদিরও হানি হইতে থাকে” উত্তর,