পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa o রামমোহন—গ্রন্থাবলী মুগ্ধ করেন। তুমি নিষ্কাম হইলে সেই সকল বেদের বিষয় হইবে না। তথাচ ভগবদগীতা ( যামিমাং পুষ্পিতাং বাচং প্ৰবদন্ত্যবিপশ্চিতঃ । বেদবাদীরতাঃ পাৰ্থ নান্য দস্তীতিবান্দিনঃ। ) স্বামী, যে মৃঢ় ব্যক্তিরা বিষলতার ন্যায়। আপাতত রমণীয় যে সকল ফলশ্রুতিবাক্য তাহাকে পরমার্থসাধন কহে এবং চাতুৰ্ম্মাস্য যাগ করিলে অক্ষয় ফল হয় ইত্যাদি ফলপ্ৰদৰ্শক বেদবাক্যে রত হয়। আর ইহা হইতে শ্রেষ্ঠ ঈশ্বরতত্ত্ব প্ৰাপ্য নয়। ইহা কহে তাহদের তত্ত্বজ্ঞান হয় না। এই মোক্ষধৰ্ম্ম উপদেশে স্বৰ্গাদিফলপ্ৰতিপাদক বেদকে পুস্পিতিবাক্য অর্থাৎ বিষলতার ন্যায় আপাতত রমণীয় পশ্চাৎ দুঃখদায়ক ইহা কথনের দ্বারা ঐ কৰ্ম্মকাণ্ডীয় বেদের অপ্রামাণ্য হয় এমৎ নহে, কিন্তু কেবল মুমুক্ষুর তাহাতে প্রয়োজনাভাব ইহা জানাইয়াছেন। এবং মুণ্ডক শ্রুতি (প্লবী হােতে অদৃঢ় যজ্ঞরূপা অষ্টাদশোক্তমবরং যেষু কৰ্ম্ম | এতচ্ছে -য়ো যেহভিনন্দন্তি মূঢ়া জরামৃত্যুং তে পুনরে বাপিযান্ত ) অষ্টাদশাঙ্গ যজ্ঞরূপ কৰ্ম্ম তাহা সকল বিনাশী হয় এই বিনাশী কৰ্ম্মকে যে সকল মূঢ় ব্যক্তি শ্রেয় করিয়া জানে তাহারা ফল ভোগের পর পুনঃ২ জন্ম মৃত্যু জরাকে প্ৰাপ্ত হয়। এ স্থলে শ্রুতি আপনিই কৰ্ম্মকাণ্ডীয় শ্রুতির অনাদর দেখাইতেছেন। কিন্তু ইহাতে কৰ্ম্মকাণ্ডীয় শ্রুতির অপ্রামাণ্য হয় না । সেইরূপ ওই কুৰ্ম্মপুরাণীয় বচনের দ্বারা মারণ উচ্চাটনাদি কৰ্ম্মবিধায়ক তন্ত্রের অনাদর তাৎপৰ্য্য হয়। কিন্তু অপ্রামাণ্য তাৎপৰ্য্য নহে। দ্বিতীয় উত্তর, স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য যিনি ঐ কুৰ্ম্মপুরাণীয় বচন লিখেন তাহার অভিপ্ৰায় যদি এরূপ হইত। যে কুৰ্ম্মপুরাণবচনানুসারে ওই সকল তন্ত্রের শাস্ত্ৰত্ব নাই, তবে যামলাদি তন্ত্রের বচনকে প্ৰমাণ বোধে স্বীয় গ্রন্থে কদাপি লিখিতেন না। তৃতীয় উত্তর, ২০৬ পৃষ্ঠে ১৩ পংক্তিতে বরাহপুরাণের উল্লেখ করিয়া কল্পিত আগমের লক্ষণ দেখাইবার নিমিত্ত বচনসকল ১৫ পংক্তি অবধি লিখিয়া তাহার অর্থ ২০০৭ পৃষ্ঠে ৪ পংক্তিতে লিখিয়াছেন “অর্থাৎ প্ৰত্যহ গোমাংস ভক্ষণ ও সুরাপান করিবেক এবং গঙ্গা যমুনার মধ্যে তপস্বিনী বালরণ্ডার হস্ত গ্ৰহণ করিয়া বলাৎকারে তাহাকে মৈথুন করিবেক এবং মাতৃযোনি পরিত্যাগ করিয়া সকল যোনিতে বিহার করিবেক এবং কি স্বদার কি পারদার স্বেচ্ছানুসারে সর্বযোনিতে বিহার করিবেক কেবল গুরুশিষ্যপ্রণালী ত্যাগ করিবেক” পরে ঐ সকল বচনে নির্ভর করিয়া মহানির্বাণাদিকে ওই সকল দূষ্য আগমের মধ্যে গণিত করিয়াছেন, এ নিমিত্ত মহানির্বাণ ও কুলাৰ্ণবের কতিপয় বচন এ স্থলে লিখা যাইতেছে যাহার দ্বারা পণ্ডিতেরা বিবেচনা করিবেন, যে ধৰ্ম্মসংহারকের লিখিত বরাহপুরাণীয় বচনপ্ৰাপ্ত কুকৰ্ম্মোপদেশ সকল ওই সকল তন্ত্রে দৃষ্ট হইয়া ধৰ্ম্মসংহারকের মতানুসারে ওই সকল তন্ত্র অসদাগমের মধ্যে গণিত হয়েন, কি ধৰ্ম্মসংহারকের