পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

어 F dS আমাদের বাককলহ নিরর্থক। অধিকন্তু ১৩ পুষ্ঠে লিখেন যে “শূদ্ৰযাজনাদুকরণে যে সকল দোষ শ্রুতি আছে সে তাবৎ অসৎ শূদ্র অন্ত্যজাদিপর, যেহেতু চারি বর্ণ চারি যুগেই প্ৰসিদ্ধ আছেন। তঁহাদের ক্রিয়া কৰ্ম্ম ষটুকৰ্ম্মশালী ব্ৰাহ্মণ সকল চিরকাল করিয়া আসিতেছেন এবং অদ্যাবধি সৎ শূদ্ৰযাজী ও অশূদ্রযাজ। বিপ্রদিগের পরস্পর তুল্যরূপ মান্যমানকতা কুটস্বতা ও আহার ব্যবহার সর্বদেশেই হইতেছে।” । উত্তর -এ নবীন ধৰ্ম্ম সংস্থাপন করিতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন যে ব্ৰাহ্মণের শূদ্ৰযাজনে দোষ নাই। ইহাতে দুই প্ৰমাণ দিয়াছেন প্রথম এই যে “চারি বর্ণ চারি যুগেই প্ৰসিদ্ধ আছেন” কিন্তু এ স্থলে ধৰ্ম্মসংহারককে জানা উচিত ছিল যে যেমন চারি যুগে চারি বর্ণ আছেন সেইরূপ তাতাদের মধ্যে উত্তম অধম পতিত ইহাও চারি যুগে হইয়া আসিতেছেন, তাহা পূর্ব ১ কালীন শাস্ত্রেই দৃষ্ট হইতেছে।. মনুঃ ( যাবতঃ সংস্পৃশেদঙ্গৈাব্রাহ্মণান শূদ্ৰযাজকঃ । তাবতিং ন ভবেন্দ্ৰাতৃঃ ফলং দানিস্ত পৌৰ্ত্তিকং) শূদ্ৰযাজক ব্ৰাহ্মণ যত ব্ৰাহ্মণের পংক্তিতে বসিয়া আহার করে, সে সকল ব্ৰাহ্মণেতে দান করিলে দাতার শ্ৰাদ্ধায় ফলপ্ৰাপ্তি হয় না। টীকাকার কুলুকভট্ট শূদ্র শব্দ এ স্থলে অসৎশূদ্র অন্ত্যজাদিপর হয় এমৎ লিখেন নাই। প্ৰায়শ্চিত্তবিবেকে, যমঃ (পুরোধাঃ শূদ্ৰবৰ্ণস্য ব্ৰাহ্মণো যঃ প্ৰবৰ্ত্ততে। স্নেহাদর্থপ্রসঙ্গাদ্বী তস্য কৃচ্ছ,ং বিশোধনং ) যে ব্ৰাহ্মণ স্নেহপ্ৰযুক্ত অথবা ধনলোভে শূদ্রবর্ণের পৌরোহিত্য ক্রিয়া একবারও করে সে ঐ পাপক্ষয়ের নিমিত্ত প্ৰাজাপত্য ব্ৰত করিবেক । এ বচনে সাক্ষাৎ শূদ্ৰবৰ্ণ প্রাপ্ত হইতেছে। এবং অযাজ্যযাজন প্ৰায়শ্চিত্তের প্রতিজ্ঞাতে ঐ বিবেককার লিখেন। ( অথ। শূদ্রাতিরিক্তাযাজ্যযাজনপ্ৰায়শ্চিত্তং ) শূদ্র ভিন্ন অন্য অযাজ্য যাজনের প্রায়শ্চিত্ত কহিতেছি । ইহাতে শূদ্র ও শূদ্র ভিন্ন পতিতাদি উভয়ের অযাজ্যত্ব প্রাপ্ত হইতেছে। মিতাক্ষরাতেও লিখেন (অত উপপাতকসাধারণপ্রায়শ্চিত্তং শূদ্ৰাদ্যযাজ্যযাজনে ব্যবতিষ্ঠতে) অর্থাৎ উপপাতক সাধারণের যে প্ৰায়শ্চিত্ত তাহার ব্যবস্থা শূদ্র প্রভৃতি অযাজ্যযাজনে ऊानिgद । q हgलe শূদ্ৰবৰ্ণ ও তদিতরের অযাজ্যত্ব প্রাপ্ত হইতেছে। শূদ্ৰযাজকের নিৰ্দোষত্বে দ্বিতীয় প্রমাণ ধৰ্ম্মসংহারক লিখেন যে “সৎশূদ্ৰযাজী ও অশূদ্ৰযাজী ব্ৰাহ্মণেদের পরস্পর তুল্যরূপে মান্যমানকতা কুটম্বতা আহার ব্যবহারও সৰ্ব্বদেশেই হইতেছে”। উত্তর -ইদানীন্তন ব্যবহার দেখিয়া মম্বাদিবচনের সঙ্কোচ করা এ ধৰ্ম্মসংহারক হইতেই সম্ভবে, যেহেতু এই ব্যবস্থানুসারে ধৰ্ম্মসংহারক কহিবেন যে শুক্রবিক্রয়ী ও অশুক্রবিক্রয়ী উভয়ের পরস্পর মান্যমানকতা কুটম্বতা আহার ব্যবহার অদ্যাবধি দেখিতেছি। অতএব শুক্রবিক্রয়ী নিৰ্দোষ হয় এবং কহিবেন যে মেচ্ছােসবী ও