পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*रे ब्रांभtभांश्न ब्रां★ । পুস্তিকা প্রকাশ করি। এই পুস্তক প্রকাশের পর দেশের লোক আমার উপর এতদূর উত্তেজিত ও ক্রুদ্ধ হইয়াছিলেন যে, কয়েকজন স্কটলণ্ডবাসী বন্ধু ব্যতীত সকলেই আমায় ত্যাগ করিলেন। আমি হিন্দুধৰ্ম্মকে কখন আক্রমণ করি নাই; কিন্তু উক্ত নামে যে বিকৃত ধৰ্ম্ম এখন প্রচলিত, তাহাই আমার আক্রমণের বিষয় ছিল। আমি ইহাই দেখাইয়াছিলাম,—হিন্দুগণ যে সকল শাস্ত্রকে মান্ত করেন, তাহাতে পৌত্তলিকতা সমর্থিত হয় না। এত বিরোধ ও আক্রমণ সত্ত্বেও কয়েকজন সন্ত্রান্ত ব্যক্তি আমার মত গ্রহণ করিতে আরম্ভ করেন।” রামমোহন রায়ের সত্যামুরাগ ও সৎসাহস কি আশ্চৰ্য্য! ঘোরতর কুসংস্কারে যখন সমগ্ৰ দেশ নিমজ্জিত, শাস্ত্রের পরিবর্তে দেশাচার যখন পূর্ণ প্রতাপে সমাজ-বক্ষে রাজত্ব করিতেছে, সেই সময়ে, সেই অবস্থায়, ষোড়শ বৎসর বয়স্ক বালকের পক্ষে মূৰ্ত্তি-পূজার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হওয়৷ কি সাধারণ বীরত্ব! এই সত্যানুরাগের জন্ত তিনি গৃহ হইতে তাড়িত হইয়া, ভারতের সীমা উত্তরণ পূৰ্ব্বক তিব্বতে গমন করিলেন। যখন বাঙ্গীনের যাতায়াত ছিল না, ভাল পথ ছিল না, দম্য তস্করের ভয়ে লোক সকল সৰ্ব্বদা সন্ত্রস্ত থাকিত, সেই সময়ে একটা বাঙ্গালী বালক অন্ত্রভেদী হিমালয় উত্তরণ পূর্বক তিব্বতে যাত্রা করিল! বিদেশীর রাজত্বের প্রতি ঘৃণা বশতঃ ও বৌদ্ধধৰ্ম্ম-বিষয়ক জ্ঞানলাভের জন্ত তিনি তিব্বতে