পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ు রামমোহন রায় । জ্ঞানামুরাগ, শান্ত্র-পাঠে আসক্তি ও তন্ময়ভাব সকলকে বিষ্ময়াপন্ন করিল। আহার, নিদ্রা ও ভোগ-বিলাসে বিগতস্পৃহ হইয়া, তিনি শাস্ত্রসমুদ্রের গভীর প্রদেশে বিচরণ করিতে লাগিলেন । এস্থলে তাহার পাঠাসক্তি সম্বন্ধে দুইটী গল্প বলিতেছি। “এক দিন প্লাতঃস্নানান্তে তিনি নির্জন গৃহে উপবেশন করিয়া, বাল্মীকি-রচিত রামায়ণপাঠে নিযুক্ত হইলেন। দেখিতে দেখিতে দ্বিপ্রহর অতীত হইয়া গেল, তথাপি তাহার পাঠ সমাপ্ত হইল না। তিনি পরিবারবর্গকে বলিয়া রাখিয়াছিলেন যে, কেহ যেন পাঠের সময়ে তাহাকে বিরক্ত না করে। সকলের আহার হইয়া গেল। বেলা তৃতীয় প্রহর অতীত হইল, পুত্রকে ফেলিয়। মাতা আহার করিলেন না। অপরাহ্লে এক দিনে সপ্তকাও রামায়ণ শেষ করিয়া, তিনি গৃহদ্বার খুলিলেন।” “এক দিন একজন পণ্ডিত কোন তন্ত্র সম্বন্ধে বিচার করিবার জন্ত রাজার নিকট উপস্থিত হন। রাজা ইতঃপূৰ্ব্বে উক্ত পুস্তক পাঠ করেন নাই। তিনি ব্রাহ্মণকে বলিলেন, “আপনি আগামী কলা আসিবেন, বিচার হইবে।” অতঃপর শোভাবাজার রাজবাটী হইতে উক্ত তন্ত্র আনিয়া পাঠ করিলেন। পর দিন ঘোরতর বিচার:আরম্ভ হইল। রাজার পাণ্ডিত্য ও তর্ক-প্রণালীর নিকট পণ্ডিত মহাশয় পরাজয় স্বীকার করিলেন।”