পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦ ब्रांमtभांश्न ब्रांप्रं । আরম্ভ হইল। তাহাকে সাহায্য করিবার বা উৎসাহ দিবার কেহই রছিল না। চতুর্দিকে উত্তাল তরঙ্গ, তাহার ভিতরে রামমোহন আপনার সাধন-তরী ধীরে ধীরে গন্তব্যপথে লইয়া যাইতেছেন। ফুলঠাকুরাণী রামমোহনের পত্নী ও র্তাহার নব পুত্রবধূকে গৃহ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিবার সংকল্প করিলেন। তখন রামমোহন রায়, রঘুনাথপুরে শ্মশান-ক্ষেত্রে বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া, বাস করিতে লাগিলেন। বাড়ীর সম্মুখে মঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করিয়া, উহার চতুর্দিকে “ও তৎসৎ” এবং "একমেবাদ্বিতীয়মৃ” এই বাক্য দুইটী খোদিত করিয়াছিলেন। এই স্থানে তিনি ব্রহ্মোপাসনা করিতেন। কোথাও বাইতে হইলে, তিনি সৰ্ব্বপ্রথমে শ্রদ্ধাপূর্ণ হৃদয়ে এই মঞ্চটি প্রদক্ষিণ করিতেন। রামমোহন রায় ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে চল্লিশ বৎসর বয়সে কলিকাতায় আসিয়া, মাণিকতলায় একখানি বাড়ী ক্রয় করিয়া, বাস করিতে লাগিলেন। যে ব্ৰত-উদ্‌যাপনেয় জন্য র্তাহার পৃথিবীতে আগমন, যাহার জন্ত বিধাতা তাহাকে এতদিন ধরিয়া প্রস্তুত করিতেছিলেন, এখন সেই যুগ-ধৰ্ম্ম-প্রবর্তনরূপ মহাত্ৰত উদযাপন আরম্ভ হইল। রামমোহন পাঠ্যাবস্থায় যে সত্যের আভাস পাইয়াছিলেন, যে সত্যের জন্ত র্তাহাকে দুইবার পিতৃগৃহ হইতে তাড়িত হইতে হইয়াছিল, সংস্কৃত শাস্ত্রপাঠে যাহ উজ্জ্বল মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছিল, নীরব সাধন