পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३३ রামমোহন রায়। পরাস্ত করিবার জন্য, কলিকাতা-সমাজের সভাপতি রাধাকান্ত দেব বড় বড় পণ্ডিতগণকে লইয়া, সভায় আগমন করেন। পণ্ডিত সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রী বিপক্ষ-পক্ষেয় মুখপাত্র হইয়া, তর্কযুদ্ধে প্রবৃত্ত হন। রামমোহনকে পরাস্ত করিবার জন্য অনেক কৌশল অবলম্বন করা হইয়াছিল। ঘোরতর তর্ক আরম্ভ হইল, প্রশ্নোত্তরে সভাস্থল আন্দোলিত হইতে লাগিল। পরে রামমোহন রায়ের অব্যর্থযুক্তি,সৰ্ব্বতোমুখী প্রতিভা ও অসাধারণ শাস্ত্রজ্ঞান শাস্ত্রী মহাশয়কে নীরব করিল। আত্মীয়-সভার নিকট পৌত্তলিকগণের পরাজয়-বাৰ্ত্ত চতুর্দিকে ছড়াইয়া পড়িল। বিপক্ষগণ ক্ষোভে ও অপমানে গর্জন করিতে লাগিলেন। এই বাদ প্রতিবাদের সময় আমাদের দেশের কয়েক জন সন্ত্রান্ত ব্যক্তি রামমোহন রায়ের সহিত সম্মিলিত হইলেন। সকলেই ষে ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রচারের জন্য রাজার সহিত বন্ধুত্বপাশে আবদ্ধ হইয়াছিলেন, এমন নহে, তাহার স্বশীলতা ও নম্রত, বিদ্যাবুদ্ধি ও মধুর ব্যবহার অনেকের চিত্ত আকর্ষণ করিয়াছিল। দ্বারকনাথ ঠাকুর, জোড়ার্সকোর ব্রজমোহন মজুমদার, রাজনারায়ণ বসু মহাশয়ের পিতা নলকিশোর বসু, ডাঃ রাজেন্দ্রলাল মিত্রের পিতামহ বৃন্দাবন মিত্র, স্তর যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের পিতামহ গোপীমোহন ঠাকুর, আলুলের মল্লিকবংশীয় কাশীনাথ মল্লিক, গড়পারের নিমাইচরণ মিত্র, তেলিনীপাড়ার অন্নদাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, টাক্টর কালীনাথ রায় এবং পণ্ডিত রঘুরাম